বিশ্বজমিন
ইরানের আরাক ভারি-পানি পারমাণবিক চুল্লি টার্গেট করেছে ইসরাইল
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

ইসরাইলের নিরাপত্তা হুমকির মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের আরাক ও খোন্দাব শহরের আশপাশের এলাকা এবং বিশেষভাবে আরাকের ভারি পানি (হেভি-ওয়াটার) পারমাণবিক চুল্লি। এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির আওতায় ইরান এই আরাক চুল্লির নকশা পরিবর্তনে সম্মত হয়। উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপযোগী উপাদান উৎপাদন রোধ করা।
ভারি পানি মূলত পারমাণবিক চুল্লি ঠাণ্ডা করতে ব্যবহৃত হয়। তবে এর পার্শ্ব-উৎপাদান হিসেবে প্লুটোনিয়াম তৈরি হয়- যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। ইরান বহুবার দাবি করেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ। বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে আগে ইরান সরকারকে আরাক পারমাণবিক চুল্লির (রিয়াক্টরটি) নকশা পরিবর্তনের জন্য সহায়তা করেছে বৃটেন। এর উদ্দেশ্য প্লুটোনিয়ামের উৎপাদন সীমিত রাখা।
২০১৫ সালের চুক্তির আলোচনায় ইরান সম্মত হয় যে, তারা তাদের উৎপাদিত হেভি ওয়াটার পশ্চিমা দেশগুলোতে বিক্রি করবে। একবার যুক্তরাষ্ট্রই প্রায় ৩২ টন হেভি ওয়াটার কিনে নেয় ৮০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যে। ইসরাইল ইতিমধ্যে ইরানের নানা পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে আছে নাতাঞ্জের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, তেহরানের আশপাশের সেন্ট্রিফিউজ ওয়ার্কশপ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাও।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ ইসরাইলকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা না করে। সংস্থাটির পরিদর্শকরা সর্বশেষ ১৪ মে আরাক রিয়াক্টর পরিদর্শন করেছেন।