ক্লাব বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে যা বললেন মেসি

ফুটবলের সম্ভাব্য প্রায় সবকিছু নিজের ঝুলিতে ভরেছেন লিওনেল মেসি। ফুটবল ইতিহাসে আর্জেন্টাইন মহাতারকার (৪৬ ট্রফি) চেয়ে বেশি শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব নেই আর কারও। এবার নতুন অভিযানে নামছেন লা পুলগা খ্যাত মেসি। ক্লাব বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মিশরীয় ক্লাব আল আহলির মুখোমুখি হওয়ার আগে ফিফা ডটকমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন মেসি।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের ঝুলিতে ইতিমধ্যে রয়েছে ৩টি ক্লাব বিশ্বকাপ ট্রফি (২০০৯, ২০১১, ২০১৫)। তবে এবারের আসর আগের গুলোর থেকে ভিন্ন। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ফিফা) এবার টুর্নামেন্টটিকে ঢেলে সাজিয়েছে। ৭টি দল থেকে এবার ক্লাব বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশাল পরিসরে। ৩২ দলের এবারের আসরে নতুন ফরম্যাট হিসেবে রয়েছে গ্রুপপর্ব ও নকআউট পর্ব। নতুন এই অভিযানের আগে মেসি জানিয়েছেন, মাঠে নামতে মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। এই ৩৭ বছর বয়সী তারকা ফরোয়ার্ড বলেন, ‘এটি একটি আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা। অন্যান্য দলের হয়ে যখন খেলেছি, তার চেয়ে আমার প্রত্যাশা ভিন্ন। তবে আমি উন্মুখ এবং সেরা (দলগুলোর) বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভালো করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ।’ ইউরোপের সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদ, চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়ী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ও রানার্সআপ ইন্টার মিলানসহ, বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার সিটির মতো শীর্ষ ক্লাবগুলো রয়েছে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে। ঐতিহাসিক এসব ক্লাবগুলোর ভিড়ে আমেরিকার মেজর লীগ সকারে (এমএলএস) ইন্টার মায়ামির অভিষেক হয় কেবল ২০২০-এ। এর তিন বছর পর আর্জেন্টাইন অধিনায়ক তাদের দলে যোগ দিলে পাল্টে যেতে শুরু করে ক্লাবটি। মেসির হাত ধরেই ক্লাবটি তাদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে গত মৌসুমে সাপোর্টাস শিল্ড জয় করে। প্রতিপক্ষদের প্রসঙ্গে আর্জেন্টাইন জাদুকর যোগ করেন, ‘আমি আগেই বলেছি, তাদের (অন্যান্য দল) কাছে বিশ্বের সেরা সব খেলোয়াড় আছে। তাই তাদের বিপক্ষে খেলার জন্য এটি মাঠের খেলোয়াড়দের জন্য ও স্ট্যান্ডে ভক্তদের জন্য সত্যিই দারুণ একটি অভিজ্ঞতা হবে।’ নতুন আঙ্গিকের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ৩২ দলকে ভাগ করা হয়েছে ৮টি গ্রুপে। প্রতি গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। গ্রুপ পর্বের সেরা দুই দল টিকিট পাবে নকআউট পর্বের। এক মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ই জুলাই, নিউজার্সির বিখ্যাত মেটলাইফ স্টেডিয়ামে। আসরের ম্যাচগুলো গড়াবে আমেরিকার ১১ শহরের ১২টি ভিন্ন ভেন্যুতে।