ক্লাব বিশ্বকাপের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ ব্যয় ম্যান সিটির

প্রথমবারের মতো ৩২টি দল নিয়ে শুরু হচ্ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। আজ ভোরে উদ্বোধনী ম্যাচে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামির মুখোমুখি হয়েছে মিশরীয় ক্লাব আল আহলি। প্রতিযোগিতার আগে পছন্দ অনুযায়ী দল গোছানোর জন্য ক্লাবগুলোকে একটি বিশেষ দলবদলের সুবিধা দেয় ফিফা, যার সময়সীমা ছিল ১লা জুন থেকে ১০ই জুন। নতুন আঙ্গিকের এই ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলতে এই সময়ের মধ্যে ২১টি ক্লাবই দলে টেনেছে নতুন খেলোয়াড়। দলগুলোর সম্মিলিতি খরচ ৫৫৩২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। 
নিত্যনতুন খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে স্বভাবতই এগিয়ে থাকে ইউরোপের বাঘা-বাঘা ক্লাবগুলো। এই বিশেষ দলবদলেও ব্যত্যয় ঘটেনি তার। ‘ক্লাব ফুটবলের চূড়ান্ত শিখর’কে সামনে রেখে নতুন খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে খরচ করা শীর্ষ পাঁচ ক্লাব ইউরোপেরই। এই তালিকায় সবার উপরে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি। সিটিজেনরা নতুন ৪ ফুটবলারের অন্তর্ভুক্তি করতে গুনেছে ১৮০৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। পরেই অবস্থান আরেক ইংলিশ জায়ান্ট চেলসির। ৩জন খেলোয়াড়কে দলে টানতে ব্লুদের খরচ করতে হয়েছে ৯৯৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা কি না সিটির খরচের প্রায় অর্ধেক। তালিকার তিনে ইউরোপের সফলতম ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ জায়ান্টরা ২ জন খেলোয়াড় কিনেছে ৯৭৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা দিয়ে। অল হোয়াইটদের সমপরিমাণ খেলোয়ার কিনতে ইতালিয়ান জায়ান্ট ও চ্যাম্পিয়নস লীগ রানার্সআপ ইন্টার মিলান গুনেছে ৫২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পাঁচে থাকা জার্মান জায়ান্ট বরুশিয়া ডর্টমুন্ট ১ জন খেলোয়াড় কিনতেই খরচ করেছে ৪৬৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে, সর্বাধিক খেলোয়াড় ভেড়ানোর তালিকায় সবার উপরে আল আইন। সৌদি প্রো লীগের ক্লাবটি ৮ জন খেলোয়াড় কিনতে গুনেছে ৫৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ জন খেলোয়াড়কে ৫২ কোটি টাকায় দলে টেনেছে মিশরীয় ক্লাব আল আহলি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫ খেলোয়াড় ৩৪৯ কোটি ৭ লাখ টাকায় কিনেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগো। আর মোট ১১টি ক্লাব ভরসা রাখছে তাদের পুরনো খেলোয়াড়দের ওপরেই। সেগুলো হলো ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি), ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস, পর্তুগালের বেনফিকা, আর্জেন্টিনার রিভার প্লেট, ব্রাজিলের পালমেইরাস, মেক্সিকোর মন্তেরেই, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড সিটি, তিউনিসিয়ার এস্পেরান্স তিউনিস, দক্ষিণ আফ্রিকার মামেলোদি সানডাউনস এবং আমেরিকার সিয়াটল সাউন্ডার্স ও লস অ্যাঞ্জেলেস।