বিশ্বজমিন
পাকিস্তানে নিজ বাড়িতে খুন কিশোরী টিকটকার
মানবজমিন ডেস্ক
(২ দিন আগে) ৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৬:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৩০ অপরাহ্ন

পাকিস্তানে নিজ বাড়িতে খুন হলেন এক কিশোরী টিকটকার। সোশ্যাল মিডিয়াতে সবেমাত্র পরিচিতি পেতে শুরু করেছিলেন তিনি। এরমধ্যেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। সানা ইউসুফ নামের এই টিকটকারের বয়স মাত্র ১৭ বছর। অল্প বয়সে এভাবে প্রাণ হারানোয় সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে ইসলাবাদ পুলিশ। তবে হত্যার উদ্দেশ্য জানা যায়নি। বাসায় গিয়ে পরিবারের লোকজনের সামনে এভাবে হত্যা করায় নেটিজেনদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তারা এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। এতে বলা হয়, সোমবার ইসলামাবাদে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয় সানা ইউসুফকে। তার বাড়ির পাশেই সুম্বল থানার অবস্থান। থানার এত কাছে এমন হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, আটক হওয়া ব্যক্তি একজন তরুণ। তার নাম ওমর হায়াত ওরফে কাকা। বয়স মাত্র ২২ বছর। তিনি নিজেও একজন টিকটকার। নিহতের ফুপু জানান, গুলি করার আগে সানা ইউসুফ ও ওমর হায়াতের সংক্ষিপ্ত বাকবিতণ্ডা হয়। সানা তাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তার ফুপু বলেন, তিনি সানাকে বলতে শোনেন- চারিদিকে ক্যামেরা আছে, আমি তোমার গায়ে পানি ঢেলে দেবো। এরপরই সানার বুকে দুইবার গুলি করে ওমর। টিকটকে সানা ইউসুফের ফলোয়ার সংখ্যা ৭৪ হাজার। ঘটনার দিন বাড়িতে সানা ও তার ফুপু ছিলেন। সানার পিতা একজন সরকারি কর্মকর্তা। ঘটনার সময় তিনি অফিসে ছিলেন। সানার মা ছিলেন বাজারে। স্কুলের পরীক্ষা শেষে নিজেদের শহর চিত্রলে বেড়াতে যায় তার ছোট ভাই। এই সুযোগে বাড়ি আসে অভিযুক্ত ওই তরুণ। ময়নাতদন্তের জন্য সানা ইউসুফের মৃতদেহ পিআইএমএস হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সানা ও ওমর পূর্বপরিচিত। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর ফয়সালাবাদে পালিয়ে যান ওমর। এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামাবাদের আইজি আলি নাসির রিজভি বলেন, ওই মামলাটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো। অভিযুক্তকে ধরতে আমরা ১১৩টি সিসি ক্যামেরা থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। তিনি আরও বলেন, হত্যার পর সানার মোবাইল ফোন নিজের সঙ্গে করে নিয়ে যান ওমর। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হত্যাকাণ্ডের পর ধীর পায়ে হেঁটে যাচ্ছে ওই তরুণ। যদিও সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তবে হত্যার আসল কারণ এখন তদন্তাধীন। সম্প্রতি খুশবাবে এক টিকটকারকে হত্যা করে তার কাজিন। এ বছরের শুরুতে পেশোয়ারে নিজ বাড়িতে এক নারী ইনফ্লুয়েন্সারের মৃতদেহ পাওয়া যায়। জানুয়ারিতে টিকটকের কন্টেন্ট ও জীবনযাত্রার ধরণের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে মার্কিন বংশোদ্ভুত এক তরুণীকে হত্যা করেন তার পিতা। গত বছর শিয়ালকোটে একই ধরণের ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের জেরে নিজের বোনকে হত্যা করে তার ভাই।
পাঠকের মতামত
কোন পুরুষ বা পুরুষ সন্তান অনার কিলিং এর শিকার হয়েছে এমন সংবাদ হয়না।
Honour killing is common is Pakistan