বাংলারজমিন
শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনে যাত্রী বেশি টিকিট সীমিত
শাহ্ মোস্তফা কামাল, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে
১৬ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
সিলেট-আখাউড়া সেকশনের শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশন দিয়ে হবিগঞ্জবাসী দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রেনযোগে যাতায়াত করেন। লোকাল ট্রেন থেকে শুরু করে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। এরইমধ্যে যাত্রীর সংখ্যা বহুগুনে বেড়েছে। সেই তুলনায় বাড়ছে না টিকিটের সংখ্যা কিংবা যাত্রী সেবার মান। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশন সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহিক ছুটি ছাড়া দৈনিক ৪টি আন্তঃনগর ও ১টি লোকাল ট্রেন ঢাকা অভিমুখে এবং ২টি আন্তঃনগর, ১টি লোকাল ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে শায়েস্তাগঞ্জ ছেড়ে যায়। চট্টগ্রামগামী যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি কমপক্ষে আরও ২টি আন্তঃনগর ট্রেন এ লাইনে চালু করার জন্য। প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে নির্ধারিত আসনের চেয়ে ৩ গুন বেশি যাত্রী এ স্টেশন থেকে বাধ্য হয়েই আসনবিহীন টিকিট নিয়ে ভ্রমণ করছেন। শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন মাস্টার জানান, ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ৪৩টি, জয়ন্তিকা ৬৫টি, পারাবত ৩৫টি, উপবনের ৫০টি টিকিট বরাদ্দ আছে। যা যাত্রীর তুলনায় অপ্রতুল। চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেনে ৬৬টি ও উদয়ন ট্রেনে ৫৫টি টিকিট বরাদ্দ। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। জংশনের পরিবেশও দিন দিন নষ্ট হচ্ছে। বিশ্রামারগার খোলা থাকলেও বসার আসন কম। যাত্রীদের চেয়ে ভাসমান টাউট-বাটপার লোকজন সিট দখল করে বসে থাকে। এতে করে ট্রেনের প্রকৃত যাত্রীরা প্ল্যাটফরমে ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন। বিশ্রামারের শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী। বিশুদ্ধ খাবার পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। পুরো প্ল্যাটফরম জুড়ে ভাসমান দোকান পাঠ। সর্বোপরি এ জংশনের যাত্রীদের দুরেূাগের শেষ নেই। সরজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেনে শত শত যাত্রী শায়েস্তাগঞ্জ থেকে আসনবিহীন টিকিট নিয়ে ভ্রমণ করছেন। প্রতি বছর শায়েস্তাগঞ্জ জংশন থেকে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ আয় বাড়লেও যাত্রী সেবার মান খুবই নিম্নমানের। এ স্টেশন যেটুকু আয় হচ্ছে তার সিংহভাগই আসে টিকিট বিক্রি থেকে।