বিশ্বজমিন
বৃটিশ সেনাবাহিনীতে কয়েক ডজন টিনেজার বালিকা যৌন নির্যাতনের শিকার
মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) ১৫ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ৫:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন

বৃটিশ সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকালে গত বছর কয়েক ডজন টিনেজার যৌন নির্যাতনের শিকারে পরিণত হয়েছেন। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে তাদের কমরেড অথবা প্রদর্শকদের। প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রধানদের দেয়া তথ্যকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। যারা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ইয়র্কশায়ারের উত্তরে হ্যারোগেটে আর্মি কলেজে গিয়েছিলেন প্রশিক্ষণের জন্য।
১৬ বছর বয়সীদের মতো স্কুলত্যাগীরা এতে যোগ দেন। এসব নিয়ে মাত্র এক বছরের তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। নিজেদের রক্ষার জন্য ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনাকে ধামাচাপা দেন সামরিক বাহিনীর বসেরাÑ এমপিরা এমন রিপোর্ট দেয়ার পর এই তথ্য সামনে এসেছে।
তাতে বলা হয়েছে, প্রতি ১০ জন টিনেজ মেয়ের মধ্যে একজন এই সার্ভিসে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হাউজ অব কমন্সের ডিফেন্স কমিটির তদন্তের পর মন্ত্রীরা নতুন এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, গত বছর ১৮ বছরের কম বয়সী এমন যেসব টিনেজারকে সেনাবাহিনীতে নেয়া হয়েছে, তার মধ্যে ৪৭ জন যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকারে পরিণত হয়েছেন।
তদন্তে বলা হয়েছে, সিনিয়র কর্মকর্তাদের কারণে সেনাবাহিনীতে নারী সদস্যদের অনুৎসাহিত করা হচ্ছে। এমপিদের কাছে সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী লিও ডোহার্টি বলেছেন, ৪৭ জন ভিকটিমের মধ্যে ৩৭ জনই নারী। এর মধ্যে একটি ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। চারটির তদন্ত চলছে। ১১টি ঘটনা বেসামরিক পুলিশে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বাহিনীর ভেতরে এমন যেকোনো ঘটনা দেখাশোনা করে রয়েল মিলিটারি। তারাই সার্ভিসে যুক্ত ব্যক্তিদের পুলিশিংয়ের জন্য দায়িত্বশীল। অভিযোগগুলোর মধ্যে ২২টিই আর্মি ফাউন্ডেশন কলেজ, হ্যারোগেটের। তথ্য বলছে, বাহিনীতে দায়িত্ব পালনকালে ১৮ বছর বা তার নিচে বয়সী এমন প্রায় ৩০০ মেয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সাবেক সেনা কমান্ডিং অফিসার কর্নেল ফিলিপ ইংগ্রাম বলেছেন, এই পরিসংখ্যান হতাশাজনক। এতে এটাই জোরালোভাবে ধরা পড়েছে যে, বিভিন্ন পর্যায়ে কমান্ডে মৌলিক ব্যর্থতা রয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীতে যৌন নির্যাতন বা হয়রানির কোনো স্থান নেই। সব অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে নেয়া হয়। সার্ভিস পুলিশ তার তদন্ত করে। সামনে আসা ইস্যুগুলোর প্রেক্ষিতে সদস্যরা যাতে নিরাপদ থাকেন তার মেকানিজম অব্যাহতভাবে উন্নতি করার রিপোর্টিং করা হচ্ছে। গোপনীয় অভিযোগের বিষয়েও দেখা হবে। এজন্য ভিকটিম এবং প্রত্যক্ষদর্শীর জন্য কেয়ার ইউনিট সৃষ্টি করতে হবে। এ বছর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সশস্ত্র বাহিনীতে যৌন অপরাধের বিষয়ে জিরো টলারেন্স প্রকাশ করা হয়।