অনলাইন
সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা, যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ ঘন্টা আগে) ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৫:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

সরকারি চাকরিজীবীরা মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কত শতাংশ পাবেন সেটি এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। মহার্ঘ ভাতা দেয়ার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হবে, তবে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি বলেন, মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। হওয়ার সম্ভাবনা মোটামুটি। কখন থেকে দিতে পারবো, কত দিতে পারবো- এটার জন্য কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি।
মহার্ঘ ভাতা দেয়ার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা। সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বছরের শুরুতে আলোচনা শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি ফের আলোচনা শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। জানা গেছে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘভাতার ঘোষণা আসতে পারে। গত জানুয়ারি মাস থেকেই সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা কার্যকরের পরিকল্পনা ছিল সরকারের।
সে অনুযায়ী উদ্যোগও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সংকটকালীন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ উদ্যোগের সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদরা। তখন সরে এলেও এখন নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী, ১ থেকে ৯ নম্বর গ্রেডের কর্মীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং বাকিসব গ্রেডের জন্য ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হারে ভাতা চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। ১ থেকে ৯ গ্রেডের ভাতা ১৫ শতাংশে বাড়ালে মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ছিল ৮২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত সরকারের আমলে বৈষম্যের শিকার চাকরিজীবীদের কয়েক দফায় পদোন্নতি দেওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়ে ৮৪ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।
পাঠকের মতামত
ঘুষ জন্য যুদ্ধ প্রয়োজন এখনও চলছে সময় হচ্ছে সরকারি অফিসার হতে আবার মহার্ঘ ভাতা দিয়ে জাতির উপর একটা অর্থনৈতিক বোঝানো চাপানো ঠিক হবে না আগে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তারপরে এগুলো বৃদ্ধি করার চিন্তা করতে হবে কারণ এ সরকার জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য আসেনি জনগণের কল্যাণে একটা ব্যাপক সংস্কারের জন্য এসেছে।
বর্তমানে ৯ম গ্রেডের একজন সরকারি কর্মচারী কেবল বেতনের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকলে জীবন যাপন খুবই কষ্টসাধ্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধার করে চলতে হয়। আর ২০তম গ্রেডের কি হাল!!! আমরা কি তাঁদের মানুষ মনে করি? একমাত্র দুর্নীতিবাজদের কারণেই আজকের এই দশা। কারণ সারাদেশের সকল সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ২% সৎ এবং একমাত্র চাকরির উপর নির্ভরশীল কর্মচারী পাওয়া যাবে কিনা জানিনা! বাকি ৯৮% এর অধিক জনবলের চাকরির বেতন দরকার নেই। আবার যাঁরা সততার সাথে চাকরি করেন তাঁদের (নন গেজেটেড ব্যতীত) চাকরির পাশাপাশি অন্য কোন কাজের মাধ্যমে আয় করার জন্য অনুমোদন পাওয়া খুব সহজ নয়। একদিকে একজন মানুষকে যথাযথ মজুরি প্রদান করা হবে না অপরদিকে তাঁর জন্য চাকরির বাইরে অন্য কোন কাজ উম্মুক্ত রাখা হবে না, তাহলে কি সরকারি চাকরি কেবল দুর্নীতিবাজদের জন্য?