বিশ্বজমিন
মুখোমুখি আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেন
দুই ঘণ্টার আলোচনায় দাবিদাওয়া নিয়ে তীব্র মতপার্থক্য
মানবজমিন ডেস্ক
(৮ ঘন্টা আগে) ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার, ৮:০৬ অপরাহ্ন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এই প্রথমবার শান্তি আলোচনায় মুখোমুখি হলো মস্কো ও কিয়েভ। তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলের এক প্রাসাদে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত এই বৈঠক। মাত্র দুই ঘণ্টার কম সময় স্থায়ী আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে দুই দেশের অবস্থানের দূরত্ব। যেখানে কিয়েভ রাশিয়ার দাবিকে ‘অপ্রস্তুত’ এবং ‘অবাস্তব’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের মধ্যস্থতায় মুখোমুখি বৈঠকে অংশ নেয় যুদ্ধে লিপ্ত ওই দুই দেশ। যা ২০২২ সালে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম। তুরস্কের একটি প্রাসাদে তাদের বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়।
ইউক্রেনের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, রাশিয়ার দাবি বাস্তবতা থেকে বহু দূরে এবং আগের আলোচিত যেকোনো ইস্যুর চেয়ে এবার তাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এ কারণে খুব দ্রুতই দুই পক্ষের দুরত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে কি কি শর্ত দেয়া হয়েছে, তা সম্পর্কে ওই সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেনের নিজ ভূখণ্ডের কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছে রাশিয়া। এছাড়া মেনে নেয়ার অযোগ্য ও গঠনমূলক নয় এমন শর্তও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও রাশিয়া এ বিষয়ে এখনও কিছুই জানায়নি। মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়া তার পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয়। তবে এই সম্ভাবনা খুব।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে, নিঃশর্ত ও পূর্ণ যুদ্ধবিরতি। অবিলম্বে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে কূটনীতির দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করারও আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। যদি রাশিয়া এতে রাজি না হয় তাহলে দেশটির জ্বালানি খাত ও ব্যাংকগুলোর ওপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। রাশিয়া বলছে, তারা কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চায় এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে তারা প্রশ্ন ও উদ্বেগের একটি তালিকা উত্থাপন করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্রে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন থেকে বিরত হওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমা অস্ত্র অর্জন থেকেও বিশ্রাম নেয়া উচিত।