দেশ বিদেশ
ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কেন ব্যবস্থা নয় জানতে চায় হাইকোর্ট
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবারঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। এর আগে ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেন রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। চিঠিতে বলা হয়, গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বাতাসের মান খারাপ ছিল গত ১৪ই ডিসেম্বর যাতে বায়ুর গড় মান ছিল ২৮৮। অর্থাৎ বায়ুমান সূচক ০-৫০ থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কমূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১-৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। ৩০১ বা তার বেশি এ কিউ আই স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার বায়ুদূষণে তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইডের ধুলো। গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি তারিখ সারা বিশ্বের ১২৪টি দূষিত নগরীর মধ্যে ঢাকা ছিল দূষণের দিক থেকে প্রথম। এইদিন ঢাকার বাতাসের বায়ুমান ছিল ২৫০। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এমতাবস্থায় ঢাকার বাতাস পরিশোধনের জন্য পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নিয়ে যদি পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকা পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যথা পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয় চিঠিতে। কিন্তু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।