দেশ বিদেশ
বিএনপিকর্মী হত্যা
শেখ হাসিনা ইরেশ যাকেরসহ ৪০৮ জনের নামে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবারবৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপিকর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ (২১) হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক এমপি-মন্ত্রী, ঢাকার সাবেক দুই মেয়র, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, নির্বাচন কমিশনার, আইনজীবীসহ ৪০৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকেরকে ১৫৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নামও আছে।
রোববার আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী গত ২০শে এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেয়ার নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বাদী (নিহতের বড় ভাই) উল্লেখ করেন, আমার ছোট ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবণ (২১) বিএনপি’র দলীয় কর্মী। সে রেনেটা কোম্পানিতে ক্যাজুয়াল হিসেবে ৬ মাস ধরে চাকরি করতো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছাত্রদের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতো সে। গত ৫ই আগস্ট দুপুর আড়াইটার সময় ছাত্র-জনতার মিছিল মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স ও মিরপুর মডেল থানার মাঝের রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিদের নির্দেশে দলটির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী একত্রে শান্তিপূর্ণ মিছিলে আক্রমণ চালায়। তারা সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, রাইফেল, শটগান, পিস্তলের গুলি করে এবং ককটেল ও হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। বাদী আরও উল্লেখ করেন, সংঘবদ্ধ আসামিদের গুলিবর্ষণের ফলে শ্রাবণের বুকের বাম পাশে গুলি লাগে, যা ডান পাশের কোমর ছিদ্র হয়ে বের হয়ে যায়। গুলির আঘাতে তাৎক্ষণিক রক্তাক্ত অবস্থায় সে মিরপুর মডেল থানার গেটের সামনের রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। এ সময় শ্রাবণসহ অনেকেই ঘটনাস্থলে আসামিদের নিক্ষিপ্ত গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন সেখানে উপস্থিত ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ শ্রাবণকে চিকিৎসার জন্য রিকশাযোগে মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।