ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

বেগমগঞ্জে ভুয়া কাগজে শিক্ষক নিয়োগ এমপিও, মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১২ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার

বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৩নং রসুলপুর ইউপি’র লাউতলী জুনিয়র স্কুলের ৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ২ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে শিক্ষকদের নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত করায় মামলা হয়েছে। গতকাল নোয়াখালী ৩নং আমলী আদালতে মামলা হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকার মহাপরিচালকের নির্দেশে পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) চট্টগ্রাম ড. গাজী গোলাম মাওলা ২ মাস তদন্ত করে ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দাখিল করেন। তদন্ত চলাকালে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরিৎ কুমার চাকমা ও বেগমগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলী আশরাফ খান উক্ত সেন্ডিকেটের সঙ্গে ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। চলতি বছরে মুন্সীরহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুচ নবীর স্ত্রী সহকারী শিক্ষক রোকেয়া বেগম, সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা সুমী, সহকারী শিক্ষক সাইফুর রহমান, মো. আবদুল করিম, সহকারী শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র আচার্যকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সংযুক্ত নথি পত্রের বিবরণে জানা যায়, হাইস্কুলটি ১৯৯৫ সালে স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রয়াত নুরুল আমিন প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে জুনিয়র হাইস্কুল হিসেবে এমপিওভুক্ত হয়। চলতি বছরের ২০২২ সালে উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে এমপিওভুক্ত হয়। পরে জালিয়াত সেন্ডিকেট দফায় দফায় লাখ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্যের বিনিময়ে মাত্র এসএসসি পাস রোকেয়া বেগমকে ও সনদবিহীন দীনেশ চন্দ্র আচার্য্যকে বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। এক পর্যায়ে জুনিয়র স্কুলে ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে পদ না থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে নাসরিন সুলতানা সুমীকে উক্ত বিভাগে নিয়োগ ও এমপিওভুক্ত করেন।

বিজ্ঞাপন
 আবদুল করিমকে ২০০৪ সালে নিয়োগ দেখানো হলেও মূলত ২০২০ সালে এমপিওভুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে শ্রেণি কার্যক্রমে ও বিদ্যালয়ে যোগদান করতে দেখা যায়নি। তদন্ত রিপোটে আরও জানা যায় সার্টিফিকেট জাল ও পত্রিকার বিজ্ঞাপন জাল করে শিক্ষা অফিসার, ডিজি প্রতিনিধি মনোনয়নের চিঠি ডিজি প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির স্বাক্ষর জাল, নোয়াখালী-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্যের প্যাড ও ডিও লেটার জাল করে এমপিও প্রদানের জন্য প্রভাব সৃষ্টি করা হয়। ৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় মন্ত্রণালয় এমপিও বাতিল করলেও সরকারের অর্ধকোটি টাকা ফেরত না পাওয়া ও অপকর্মের হোতা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না হওয়ায় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির পুত্র নজরুল ইসলাম শিমুল বাদী হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালত ও দুদকে মামলা করেন। বিচারক নোয়াখালী সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status