শেষের পাতা
পারভেজ হত্যা
আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার
ঢাকার প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি মেহরাজকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১ এর একটি দল। র্যাব’র আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান তথ্যটি জানান।
তিনি বলেন, গাইবান্ধা থেকে পারভেজ হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলামকে র্যাব-১ এবং র্যাব-১৩ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে এই হত্যা মামলায় গতকাল আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি’র বনানী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মো. মাহাথির হাসান (২০)। তিনি পারভেজ হত্যা মামলার তিন নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পারভেজকে হত্যার ঘটনায় রুজুকৃত মামলার এজাহারনামীয় তিন নম্বর আসামি মাহাথির হাসান। গতকাল সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন বাসা থেকে হালিশহর থানা পুলিশের সহযোগিতায় মাহাথিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে পারভেজ হত্যা মামলায় গত রোববার মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ। তারা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। এছাড়াও মঙ্গলবার কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত পাঁচনম্বর আসামি হৃদয় মিয়াজিকে (২৩) গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব। আটকের পর গতকাল তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। পরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্লাহ শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে এ মামলায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত শনিবার বিকালে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ ওঠে জাহিদুল ইসলাম পারভেজের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর। একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুলকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ূন কবীর বাদী হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজি, মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি ওরফে পিয়াস, মাহাথির হাসান, রিফাত, আলী ও ফাহিমসহ অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামি করে শনিবার রাতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।