দেশ বিদেশ
‘বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় শিক্ষা বিনিময় সমভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে’
স্টাফ রিপোর্টার
২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ৫০ বছরের নয়, ঐতিহাসিকভাবে এই সম্পর্ক দুই হাজার বছরের পুরনো। আমরা দুই দেশের মধ্যে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই। শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি আরও বাড়াতে চাই। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে চীনের ইউনান প্রদেশ ও বাংলাদেশস্থ চীন দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত ‘চীন-বাংলাদেশ পিপল-টু-পিপল এক্সচেঞ্জ ইয়ার: ইউনান এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ প্রমোশন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিসি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সহ-আয়োজক ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সায়মা হক বিদিশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) প্রফেসর ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো, প্রক্টর এসোসিয়েট প্রফেসর সাইফুদ্দীন আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে চিকিৎসা গবেষণা ও প্রশিক্ষণকে এগিয়ে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে চীনের ইউনান পিকিং ক্যান্সার হাসপাতাল এবং কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আগে চীন ও বাংলাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল। ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিনিময়ের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুই দেশের মধ্যে একটি সেতু তৈরি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে চীনের একটি শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে শুধু ভাষাগত দক্ষতাই অর্জন করছে না, বরং একইসঙ্গে চীনের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গেও পরিচিত হচ্ছে। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় শিক্ষা বিনিময়ও সমভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। এই বছর চীনের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী বাংলা পড়তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে। চীনের শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা স্যার পিজে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে পৃথকভাবে থাকার ব্যবস্থা করেছি। ভাষা বিনিময় এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে এটি আমাদের অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ। এই ধরনের উদ্যোগ শিক্ষা, গবেষণা এবং এর বাইরেও গভীর সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করে।