প্রথম পাতা
মেঘনার আটকাদেশ কেন বেআইনি নয়, রুল
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
মডেল মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার মেঘনার বাবার করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুলে ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার, কারণ না জানিয়ে গ্রেপ্তার, ২৪ ঘণ্টার বেশি ডিবি কাস্টডিতে রাখা, আইনজীবীকে সুযোগ না দেয়া এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের দেয়া আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন। তিনি জানান, আদালত দুটি বিষয়ে অর্থাৎ গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
বুধবার রাতে রাজধানীর একটি বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করে ডিবি পুলিশ। ডিবি’র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনাকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দিতে পারবেন। আবার এই আইনের ৩(২) ধারা অনুযায়ী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তুষ্ট হন এই আইনের নির্দিষ্ট ধারার ক্ষতিকর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত তাহলে ওই ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দেবেন। বিশেষ ক্ষমতা আইনের যেসব ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে আটক আদেশ দেয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বা প্রতিরক্ষার ক্ষতি করা, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংরক্ষণের ক্ষতি করা, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ক্ষতি করা, বিভিন্ন সম্প্রদায়, শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণাবোধ বা উত্তেজনা সৃষ্টি করা, আইনের শাসন বা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা বা উৎসাহ প্রদান করা বা উত্তেজিত করা। এই আইন অনুযায়ী ক্ষতিকর আরও কাজ হচ্ছে জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যক সেবা বা অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করা, জনসাধারণ বা কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বা আর্থিক ক্ষতি করা।