ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

দেশ বিদেশ

বিদেশি প্রভুরা সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারে মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার
১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
mzamin

ভাষা ও কৃষ্টির নিবিড় বন্ধন ভেঙে ফেলার জন্য বিদেশি আধিপত্যবাদী প্রভুরা সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, নানা ঘটনা ও দুর্ঘটনার সাক্ষী ১৪৩১ সাল অতিক্রম করে ১৪৩২ সালের প্রভাতে অজানা কাল-প্রাঙ্গণের সীমানায় আমরা উপস্থিত হয়েছি। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান ভেসে যাচ্ছে রক্তে-বিস্ফোরণে। বিশ্বে শান্তি আনতে সমাধানহীন এক প্রহেলিকার মধ্যে থাকলে হবে না। স্বার্থ কখনো সমাধান নয়। আমরা নিঃস্বার্থ সমাধান চাইলে রক্ত ঝরবে না, শান্তির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে না। আমাদের গত বছরের ক্লান্তি, হতাশা ও গ্লানিকে অতিক্রম করে নতুন উদ্যমে অগ্রসর হতে হবে। 
তিনি বলেন, বাংলা সন-তারিখ আমাদের প্রাত্যহিক জীবন, দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অপরিহার্য অনুষঙ্গ, তাই এটি জাতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, বিদগ্ধজনের মানসিক আশ্রয় ও মননের পরিচর্যার উৎসস্থল। সুপ্রাচীনকাল ধরে গড়ে ওঠা ভাষা ও কৃষ্টির নিবিড় বন্ধন ভেঙে ফেলার জন্য বিদেশি আধিপত্যবাদী প্রভুরা সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আমাদের এ সম্পর্কেও সচেতন ও সদা জাগ্রত থাকতে হবে।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মনুষ্যত্বের বাণী একত্রিত হয়ে গঠন করে এক সুগ্রন্থিত জাতি। জাতির আত্মপরিচয়ে পহেলা বৈশাখ এক উজ্জ্বল উপাদান। প্রতি বছর নববর্ষ পেছনের আলোকের দীপ্তিতে উৎকর্ষতা ও অগ্রগতির পথে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দেয়। এখন আমাদের প্রাণবন্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের উদার দৃষ্টিভঙ্গির যে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং প্রবণতা রয়েছে তার ভিত্তিতে বহু মত ও পথের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চিরস্থায়ী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, নববর্ষের প্রথম দিনে আমি সকলের কল্যাণ ও শান্তি কামনা করছি। বৈশাখের বহ্নিতাপে সমাজ থেকে মুছে যাক অসত্য, অন্যায়, অনাচার ও অশান্তি। চারিদিকে প্রবাহিত হোক শান্তির সুবাতাস, সুশীলা নদী, সমস্ত জগৎ হোক অমৃতময়। ১৪৩২ বাংলা সনের নতুন প্রভাতের প্রথম আলোতে আমি দেশবাসীকে আবারো জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

ওদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংলাদেশি বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলবাসীসহ বাংলাভাষীরা বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য জাতিসত্তা। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদই এই ভূখণ্ডে সকল জনগোষ্ঠীকে অভিন্ন সত্তা দান করেছে। পার্বত্য অঞ্চলবাসী বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা অভিবাদন জানাচ্ছি। পাহাড়ি বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী জনগণের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস- বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির অভিন্ন অংশ। যা আমাদের ঐতিহ্যকে মহিমামণ্ডিত, প্রাচুর্যময় ও সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে। উৎসব মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে, মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে ও সংযুক্ত করে সমাজের নানা সম্প্রদায়। 

অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ পহেলা বৈশাখ ১৪৩২। বাংলা সনের প্রথম দিন। বাংলাদেশিদের সমগ্র সত্তাকে ধারণ করে আছে বাংলা নববর্ষ। বৈশাখের ঊষালগ্ন থেকেই ছায়া সুনিবিড় শান্তির আশ্রয়ের ন্যায় আমাদের মনকে ভরিয়ে তোলে বৈশাখী উৎসব। নববর্ষের প্রথম প্রহরে আমাদের অগণিত সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংলাদেশি বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব ও নববর্ষ উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব আমাদের জাতীয় উৎসবেরই অনুষঙ্গ। পার্বত্য অঞ্চলবাসীসহ বাংলাভাষীরা বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য জাতিসত্তা। পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু এবং নববর্ষ উপলক্ষে সকল সম্প্রদায়ের প্রতি রইলো আমার অকৃত্রিম শুভেচ্ছা। আমি এদেশের সকল নৃ-গোষ্ঠীর সমান অগ্রগতি ও বিকাশ কামনা করি। বাংলা নববর্ষের সকল অনুষ্ঠান সুন্দর ও সার্থক হোক। বাংলা নববর্ষে সবার জীবন আনন্দঘন ও সুখময় হোক মনে-প্রাণে, এটিই কামনা করি।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status