দেশ বিদেশ
আওয়ামী রাজনীতির মৃত্যু ঢাকায়, দাফন হয়েছে দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবারআওয়ামী রাজনীতির মৃত্যু ঢাকায় এবং দাফন হয়েছে দিল্লিতে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সালাহউদ্দিন আহমেদ। গত সোমবার রাজধানীর রমনা পার্কের শতায়ু প্রাঙ্গণে (রানী মঞ্চ) জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। পরে জাসাস শিল্পীরা দেশাত্মবোধক, পল্লীগীতিসহ বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে সকল জনগোষ্ঠীর সংগ্রামের মধ্যদিয়ে ছাত্র-জনতা-শ্রমিক-সংস্কৃতিজীবী সকল জনগোষ্ঠী অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে পৃথিবীর কাছে স্মরণীয় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়েছে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির বিলুপ্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার দাফন হয়েছে দিল্লিতে, আওয়ামী রাজনীতির মৃত্যু ঢাকায়, দাফন হয়েছে দিল্লিতে। তিনি বলেন, আমরা কি ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে মুক্ত হয়েছি। এ সময়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা উচ্চ কণ্ঠে জবাব দেন ‘না’।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসা হাজার দর্শক শ্রোতাদের ‘বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা, পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা’ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এই বৈশাখী শোভাযাত্রা, আনন্দ শোভাযাত্রা, পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা- আমাদের এই সংস্কৃতির ঐহিত্যের অংশ। সেটা আমাদের জাগতিক শোভাযাত্রা, আমাদের সংস্কৃতির অংশ। বাংলার বৈশাখী মেলা, বাংলার তালপাতার পাখা এবং বাঁশি এটি আমাদের সংস্কৃতি।
সালাহউদ্দিন বলেন, আমি বলতে চাই না এটা একেবারে শুধু মুসলমানদের জন্য অনুসরণীয় কোনো সংস্কৃতি। আমরা যারা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি, আমরা সবাই বাংলাদেশের ভেতরে এই ভৌগোলিক সীমা রেখায় যারা আমরা বাংলাদেশি সকলের আমরা সর্বধর্মাবলম্বী, সকল রকমের শ্রেণি-গোত্র-পেশা-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা এই বাংলাদেশের সিটিজেন হিসেবে এই সংস্কৃতিকেই আমরা সর্বজনীনভাবে পালন করবো, অতীতে যা আমরা পালন করতাম। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।
তিনি বলেন, এই ভূখণ্ডের, এই বাংলাদেশের হাজার বছরের লালিত যে সংস্কৃতি, পালিত যে সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি। যে স্বতন্ত্র সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের যে সংস্কৃতি তাকে বিকৃতি ও বিস্মৃত করতেই মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন করেছিল ১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগ। যারা মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে অতি পুরানিক, পৌত্তলিক, জাগতিক বহির্ভূত অতি জাগতিক সংস্কৃতি চর্চা শুরু করতে চেয়েছিলেন, সেটা জাতি গ্রহণ করেনি।
জাসাস নেতা ইথুন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকেন, সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরীসহ সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।