দেশ বিদেশ
৪৪-৪৭তম বিসিএস নিয়ে সিদ্ধান্ত জানালো পিএসসি
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবারপ্রার্থীদের দাবির মধ্যে চার (৪৪-৪৭তম) বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। গতকাল পিএসসি’র এক বিজ্ঞপ্তিতে এ পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল এবং ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল জুন মাসের মধ্যে প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কতিপয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চলমান বিভিন্ন বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও খণ্ডিত তথ্য সরবরাহ করছে, যা বিসিএস পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এমতাবস্থায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সব মহলের মধ্যে থাকা এসব বিভ্রান্তি দূর করার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত তথ্য উপস্থাপন করছে। ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার আবশ্যিক বিষয়গুলো আগামী ৮ থেকে ১৯শে মের মধ্যে ও পদসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্ভাব্য জুনের শেষ সপ্তাহে শুরু হয়ে ৭ই জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে। ২২শে এপ্রিল থেকে ১৯শে মে পর্যন্ত ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত থাকবে এবং স্থগিত মৌখিক পরীক্ষাগুলো ১৬ই জুনের পর দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা হবে। স্থগিত মৌখিক পরীক্ষাগুলোর পরিবর্তিত শিডিউল শিগগিরই জানিয়ে দেয়া হবে। ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল জুনের মধ্যে প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফলাফল জুনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২৭শে জুনের পরিবর্তে আগামী ৮ই আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৪৪তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে সৃষ্ট জট নিরসনকল্পে বিসিএস প্রার্থীদের উদ্বেগ বিবেচনায় রেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যমান জট সমাধানের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা নেয়ার জন্য অপরিহার্য কিছু বিষয়, যেমন প্রশ্নপত্র ছাপানো, পরীক্ষাকেন্দ্র নির্বাচন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনায় কমিশনকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হয়।
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সময়ে সময়ে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো জানার জন্য প্রার্থীদের কমিশনের ওয়েবসাইটে নিয়মিত দৃষ্টি রাখা ও কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা তথ্যকে একমাত্র নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র হিসেবে বিবেচনা করার জন্য পরীক্ষার্থীদের অনুরোধ করা হয়েছে।