প্রথম পাতা
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিত
পরবর্তী করণীয় নিয়ে তৎপর ঢাকা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবারচীন ছাড়া নতুন আরোপ করা পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এই সময়ে দেশগুলোর পণ্যে পাল্টা শুল্ক ন্যূনতম ১০ শতাংশ কার্যকর হবে। আর চীনা পণ্যের ওপর শুল্কের হার ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন ট্রাম্প। তবে যুক্তরাষ্ট্র বাড়তি শুল্ক তিনমাস স্থগিত করায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে তৎপর হয়েছে ঢাকা। এর মধ্যেই বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাড়তি শুল্ক তিন মাস স্থগিত করায় নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাণিজ্যে ঘাটতি কমানোর নানা পদক্ষেপ নিতে পারবো।
বুধবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, চীন বিশ্ববাজারের প্রতি যে অশ্রদ্ধা দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ নির্ধারণ করছি। আশা করি, নিকট ভবিষ্যতে চীন ও অন্যান্য দেশ উপলব্ধি করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার দিন আর থাকবে না। ট্রাম্প লিখেছেন, প্রকৃত অবস্থার ভিত্তিতে ৭৫টিরও বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ‘আমি ৯০ দিনের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত অনুমোদন করেছি। একই সঙ্গে এই সময়ের জন্য পাল্টা শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এটাও অবিলম্বে কার্যকর হবে।’ খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
এদিকে শুল্ক স্থগিত করার অনুরোধ রাখায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট মেনশন করে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ‘৯০ দিনের শুল্ক স্থগিত করতে আমরা যে অনুরোধ করেছিলাম, তাতে ইতিবাচক সাড়া দেয়ায় প্রেসিডেন্ট আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার বাণিজ্য এজেন্ডাকে সমর্থন জানাতে আমরা আপনার প্রশাসনের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবো। এর আগে গত সোমবার বাংলাদেশের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করতে ট্রাম্পকে চিঠি পাঠান ড. ইউনূস। এর আগে গত ২রা এপ্রিল হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে উচ্চ মাত্রার এই শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এদিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হবে। শুল্ক স্থগিত করায় আলোচনার সময় আরও পাচ্ছি। সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে তাই নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্যে ঘাটতি কমানোর নানা পদক্ষেপ নিতে পারবো।