অনলাইন
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটি ‘বিভ্রান্তিকর’: প্রেস উইং
অনলাইন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ১ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৭:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে ইসলামিস্টদের উত্থান নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটি উদ্বেগজনক এবং বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
মঙ্গলবার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটি ইঙ্গিত দেয় যে বাংলাদেশে ধর্মীয় চরমপন্থা উত্থানের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে।
বিভ্রান্তিকর এ চিত্রায়ন কেবল দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক গতিশীলতাকে অতি সরলীকৃত করে না বরং ১৮ কোটি মানুষের একটি সমগ্র জাতিকে অন্যায়ভাবে কলঙ্কিত করার ঝুঁকিও তৈরি করে।
নিউইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যখন নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করছে, তখন কট্টরপন্থি ইসলামিস্টরা একটি সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। তবে এ বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে প্রেস উইং বলছে, নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটি বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি উদ্বেগজনক এবং একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে।
প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশ করার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে উসকানিমূলক নিবন্ধের ওপর নির্ভর করার পরিবর্তে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দেয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বছর ধরে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি করেছে সেটাকে এবং পরিস্থিতির জটিলতাকে স্বীকার করা উচিত।
আরও বলছে, যদিও নিবন্ধটি ধর্মীয় উত্তেজনা এবং রক্ষণশীল আন্দোলনের কিছু ঘটনা তুলে ধরেছে, তবে এটি অগ্রগতির বৃহত্তর প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করেছে। বাংলাদেশ নারীদের অবস্থার উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি এমন একটি সরকার যা নারীর অধিকার এবং সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। অথচ নিবন্ধে এর উল্টোটা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ধর্মীয় সহিংসতার মধ্যে পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর এবং তার পর থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘটিত অনেক সংঘর্ষকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যদিও বাস্তবে এসব ঘটনা ঘটেছিল রাজনৈতিক কারণে। রাজনৈতিক দলগুলি প্রায়শই সমর্থন জোগাড় করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে। যা বিষয়টিকে জটিল করে তোলে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ধর্মীয় নিপীড়নের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। সুতরাং পুরো পরিস্থিতিকে সাম্প্রদায়িক সংঘাত হিসেবে উপস্থাপন করা বিভ্রান্তিকর। এটি প্রকৃত রাজনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করে।
প্রেস উইং জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য তার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করেছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সন্ত্রাসবাদ দমন প্রচেষ্টার সাথে তার চলমান কাজ এই প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে।
পাঠকের মতামত
Najibul Islam, India is waiting for you. it's time to go home
NYT এর রিপোর্টটি আওয়ামী ও ভারতীয় প্রোপাগান্ডার সাথে মিলে গেছে। দেখা গেছে, যখনই জনরোষে/জনরায়ে আওয়ামী লীগের পতন হয় তখনই তারা এ ধরনের প্রপাগান্ডায় নেমে পড়ে; আর এতেই আওয়ামী ল্যাসপেন্সাররা লাফালাফি শুরু করে !
ইসলামপন্থী দের উদ্ভব ঘটলে আমেরিকার এতো গাজ্বালা উঠে ক্যান? বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের উদ্ভব গটবে নাতো হিন্দুপন্থী দের উদ্ভব ঘটবে?
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন প্রকাশ একেবারে অ সত্য নয়।
বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম প্রিয়। এখানে ৯০%মুসলিম। সেক্ষেত্রে ইসলামী মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি ধারন করে ঠিকই কিন্তু উগ্র নয়। সাম্প্রদায়িক সম্পীতিতে বিশ্বাসী।
বিভ্রান্ত প্রেস সচিবের বিভ্রান্ত কিছু কমেন্ট: *বাংলাদেশ নিয়ে- ট্রাম্পের বক্তব্য 'বিভ্রান্তিকর'!, *তুলশি গাবার্ড এর বক্তব্য 'বিভ্রান্তিকর'! *বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ‘বিভ্রান্তিকর'! *সংখ্যালঘু নির্যাতনও 'বিভ্রান্তিকর'!
ফিলিস্তিনে জায়নবাদীদের উত্থান আগে ঠেকান