অনলাইন
'ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ চীনা দখলদারি কখনই বরদাস্ত করা হবে না'
মানবজমিন ডিজিটাল
(৩ সপ্তাহ আগে) ২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ২:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

লাদাখ সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় দুটি নতুন গ্রাম তৈরির ঘোষণা করেছে চীন। যার মধ্যে বেশ খানিকটা পড়ছে লাদাখে, ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে। যা নিয়ে এবার গর্জে উঠল নয়াদিল্লি। কূটনৈতিক পদ্ধতিতে কড়া জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছে মোদি সরকার। দেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং লোকসভায় এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে লিখিত জবাবে বলেছেন, 'ভারত সরকার এই এলাকায় ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনের অবৈধ দখলদারিত্ব কখনোই মেনে নেয়নি। নতুন গ্রাম তৈরি করা ভারতের সার্বভৌমত্বের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না এবং চীনের অবৈধ ও জোরপূর্বক দখলকে বৈধতা দেবে না। লাদাখ লাগোয়া ভারত-চীন সীমান্তে নতুন দু’টি গ্রাম তৈরি নিয়ে কেন্দ্র অবগত কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছিল বিরোধীদের পক্ষ থেকে।
ই মর্মে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়। চীন সরকারের পক্ষ থেকে এই নয়া গ্রাম নির্মাণ নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও করা হয় সংসদে। জবাবে লোকসভায় কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ‘চীনের হোতান প্রদেশে দু’টি গ্রাম তৈরির বিষয়টি ভারত জানে। এই গ্রামের খানিকটা অংশ ভারতীয় ভূখণ্ড লাদাখের মধ্যে পড়েছে। চীন সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিচ্ছে, সেই সম্পর্কেও কেন্দ্রের কাছে তথ্য রয়েছে। সীমান্তে হওয়া সব পদক্ষেপ নিয়ে কেন্দ্রের বিশেষ নজরদারি চলছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তার বিষয়টিই ভারতের কাছে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।’
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও বিষয় থাকলে তা কড়া হাতে দমন করা হবে। ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষাকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোর উন্নতিতে বিশেষ মনোযোগ দেয় যাতে এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর করা যায়, পাশাপাশি ভারতের কৌশলগত ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা মেটানো যায়। গত দশকে (২০১৪-২০২৪) সীমান্ত অবকাঠামোর জন্য বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও) একাই আগের দশকের তুলনায় তিনগুণ ব্যয় করেছে। সড়কের দৈর্ঘ্য, সেতু এবং টানেলের সংখ্যা সবই আগের সময়ের তুলনায় যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি স্থানীয় জনগণের সাথে সংযোগ এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আরও ভাল লজিস্টিক সহায়তা প্রদানে সহায়তা করেছে।’
মন্ত্রীর কথায়, সরকার ভারতের নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলে এমন সব উন্নয়নের উপর নিরন্তর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সূত্র: এনডিটিভি