বাংলারজমিন
মৌলভীবাজারে ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা, পিতা আটক
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবারমৌলভীবাজার বাবার প্রহারে মাহিদ (৭) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। ছেলেকে হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টা করে বাবা খোকন মিয়া। রোববার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক বাবাকে আটক করেছে। জানা গেছে, খোকন একজন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী। রোববার বিকালে দ্বিতীয় স্ত্রীর শিশুপুত্র মাহিদ বিছানায় মলত্যাগ করার অভিযোগে ক্ষীপ্ত হন তিনি। এ অপরাধে তাকে ঘরের বাহিরে এনে বেধড়ক পেটাতে থাকেন ঘাতক খোকন। মাহিদ সেখান থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী যবেদা খাতুনের ঘরে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে ধরে এনে ফের পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে উপর থেকে মাটিতে ছুড়েও মারেন। এরপর মাহিদের দুই পা ধরে কংক্রিটের পিলারে সঙ্গে আছাড় দিতে থাকলে তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় খোকন নিজেই মাহিদকে নিয়ে যান মৌলভীবাজার জেনারেল হাসপাতালে। পরে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ছেলের মৃত্যুর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গাছ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। এরপর সেখান থেকে লাশ নিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যান। লাশ বাড়িতে না নিয়ে গুমের চেষ্টা চালান। এমন খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকটি টিম খোকন ও লাশ উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরে সন্ধ্যা ৭টায় পাহাড়ি টিলায় নিজ ঘরে শিশুর লাশ গোপনে রেখে ঘাতক পিতা, শিশুর দাদি হাওয়া বেগম গা-ঢাকা দেন। তবে তার প্রথম স্ত্রী ও মাহিদের ভাইকে ঘরে পাওয়া যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার জেলগেট এলাকা থেকে খোকনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটির লাশ বাড়ির পূর্ব পাশে পাহাড়ি টিলার কোন এক নির্জন স্থানে রেখেছিল তার বাবা। বাড়ি থেকে পুলিশ বের হয়ে এলে এক ফাঁকে লাশ ঘরে রেখে পালায় খোকন। পরে রাতে জেলা কারাগার এলাকা থেকে খোকনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।