শেষের পাতা
এনএইচকে’কে ড. ইউনূস
২০২৫ সালের শেষদিকে হতে পারে নির্বাচন
মানবজমিন ডেস্ক
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার
২০২৫ সালের শেষদিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত বুধবার ঢাকায় জাপান সরকারের এনএইচকে সম্প্রচার মাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে তিনি কীভাবে দেশ পুনর্গঠন করছেন সে কথাও তুলে ধরেন।
এনএইচকে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে ভেঙে পড়ে শেখ হাসিনার সরকার। এরপরেই দেশের দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ যেন স্বনির্ভর হয়, শক্তিশালী হয়-সেটি নিশ্চিত করতেই কাজ করছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেছেন, আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি মনে করি, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কেননা এখানে সমাজ, অর্থনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থাসহ সবকিছুই ছিল বিধ্বস্ত।
গণতান্ত্রিক দেশের জন্য নির্বাচন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় হতে পারে চলতি বছরের শেষদিক। ড. ইউনূস বলেন, যখন নির্বাচন হবে, যারা নির্বাচিত হয়ে সরকারে আসবে, তারা কাজ করার জন্য খুব নিরাপদ ও দৃঢ়ভিত্তি পাবে। দেশের তরুণেরা ভবিষ্যতে প্রভাবশালী হয়ে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানে তরুণেরা মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, জাপানের প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। ড. ইউনূস আরও বলেন, তরুণেরা কী করতে চায়? তারা তাদের সৃজনশীল শক্তি দেখাতে চায়। এবং তা পুরো বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চায়। সুতরাং আমাদের মনে এই আকাঙ্ক্ষাটাই আছে। দেখা যাক, কীভাবে আমরা এগোতে পারি।
পাঠকের মতামত
ভবিষ্যতে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস সাহেবকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চাই। কারণ উনার মতো একজন অভিভাবক থাকলে আমাদের দেশের উপর কেউ চোখ রাঙাতে পারবে না। এই মানুষটির উপর আল্লাহ দয়া করুন যেন তিনি আমাদের দেশের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
২৫ নয় ২৬শের শেষের দিকে নির্বাচনের আয়োজন করুন।