বিশ্বজমিন
রাশিয়া থেকে রেকর্ড এলএনজি কিনেছে ইউরোপ
মানবজমিন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ৯ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০৪ অপরাহ্ন
গত বছর রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ তরল গ্যাস (এলএনজি) ক্রয় করেছে ইউরোপ। জীবাশ্ম জ্বালানি বিক্রয় করে রাশিয়া যাতে তহবিল গঠন করতে না পারে সে বিষয়ে বাধা দিয়ে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ-এর এমন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গত এক বছরে ইউরোপের দেশগুলো রেকর্ড পরিমাণ তরল গ্যাস ক্রয় করেছে। রিস্টার্ড অ্যানার্জি এর গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপের বিভিন্ন বন্দরে ১৭.৮ টন অতি ঠান্ডা রাশিয়ান গ্যাসভর্তি ট্যাংকার। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২ টনেরও বেশি। জ্যাঁ-এরিক ফাঁরিচ নামে রিস্টার্ড অ্যানার্জির গ্যাস গবেষক বলেন, ২০২৪ সালে রাশিয়া থেকে আসা গ্যাস সরবরাহ শুধু উর্ধ্বমূখীই ছিল না বরং তার মাত্রা ছিল রেকর্ড পরিমাণ। ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাসের আমদানি একেবারে বন্ধ করে দেয় ইউরোপ। কিন্তু গতবছর রাশিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে রেকর্ড পরিমাণ এলএনজি গ্যাস ক্রয় করেছে ইউরোপ। গত বছর কাতার’কে টপকে ইউরোপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এলএনজি গ্যাস সরবরাহকারী হিসেবে গণ্য হয় রাশিয়া। আপাতত ইউরোপে সবচেয়ে বেশি এলএনজি গ্যাস সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র।
গবেষক ফাঁরিচ এর মতে, ২০২৪ সালে রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ৪৯.৫ বিলিয়ন ঘন মিটার (বিসিএম) গ্যাস ক্রয় করে ইউরোপ। পরবর্তীতে আরও ২৪.২ বিসিএম ঠান্ডা তরল গ্যাস জাহাজে করে নেয়া হয় ইউরোপে। তিনি আরও বলেন, ক্রয়কৃত এসব এনএলজি গ্যাস পুনরায় আবার ইউরোপের অন্য দেশে বিক্রয় করা হয়। ইউক্রেনের ভূ-খণ্ড দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ করা হতো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। সম্প্রতি গ্যাসলাইন কেটে দেয় ইউক্রেন। এমন পদক্ষেপের ফলে বন্ধ হয়ে যায় সোভিয়েত আমলে চালু হওয়া গ্যাস প্রবাহের রাস্তা। এর পর পরই রাশিয়া থেকে ক্রয়কৃত গ্যাসের পরিমাণের সঠিক তথ্য প্রকাশ করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনকে সহায়তার বিষয়টি অবমূল্যায়ন করছে এমন দাবি প্রচারকদের। তাছাড়া রাশিয়ার জ্বালানির পেছনে অর্থ ব্যয় করে নিজেদের জলবায়ু লক্ষ্য থেকে সরে আসছে ইইউ এমন দাবিও করা হয়। কারণ এসব জ্বালানি যখন পোড়ানো হয় তখন এমন কণা নির্গত হয়, যা পৃথিবীর উত্তাপ বৃদ্ধি করবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন ‘জ্বালানির’ চাহিদা কমিয়েছে ইইউ। পাশাপাশি বায়ুচালিত টারবাইন ও সোলার প্যানেল নির্মাণ করার বিষয়ে নীতি বিমুক্ত করেছে ইইউ। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, শতাব্দীর শেষে পৃথিবী উত্তপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য তাপমাত্রা যাতে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) না পৌঁছায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। কিন্তু এর জন্য যত দ্রুত অর্থনীতি পরিষ্কার করা দরকার তা করছে না ইইউ।