বিশ্বজমিন
আসামে কয়লাখনিতে আটকা শ্রমিক, উদ্ধার তৎপরতা
মানবজমিন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ৭ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৫:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
ভারতের আসাম রাজ্যের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় একটি সংকীর্ণ কয়লাখনিতে আটকা পড়েছেন কয়েকজন শ্রমিক। পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বের হতে পারছেন না তারা। তাদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। কেন্দ্রীয় সরকার বার্তা সংস্থা রয়টার্স’কে বলেছে, নয় জনের মধ্যে তিন জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ তথ্য দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ২০১৪ সাল থেকে এ ধরণের খনি থেকে কয়লা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত সরকার। তা সত্ত্বেও আসাম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে কিছু শ্রমিক অবৈধভাবে এ ধরণের খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করার কার্যক্রম চালু রেখেছে। ইতিমধ্যে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। তাদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকালে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং স্থানীয় প্রশাসন’কে সাহায্য করতে থাকে। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করার জন্য সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও যোগ দেবেন। সেনাবাহিনীর ত্রাণ কর্মসূচীতে যুক্ত আছে ডুবুরি, স্যাপারস (খনিতে উদ্ধারকর্মী), চিকিৎসা কর্মী ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সোমবার সন্ধ্যায় আসাম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিং বলেন, কর্তৃপক্ষ আটকা পড়া শ্রমিকদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয়ের চেষ্টা করছে। রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ১২ জনের বেশি শ্রমিক খনি থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও প্রাথমিক রিপোর্টে ধারণা করা হয়, বের হতে পারা শ্রমিকের সংখ্যা এর থেকেও কম। খনিটি দিমা হাসাও জেলার পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। ওই জেলায় কর্মরত পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মায়াঙ্ক কুমার ঝা বার্তা সংস্থা রয়টার্স’কে জানান, খনিটি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ার কারণে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। যদিও খনি সম্পর্কিত দুর্যোগের ঘটনা ভারতে এই প্রথম না, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আসামের পার্শ্ববর্তী এলাকা মেঘালয়ে নদীর পানি প্লাবিত হয়ে মারা যান কমপক্ষে ১৫ জন শ্রমিক। পাঁচ জন সেখান থেকে বের হতে সক্ষম হলেও বাকিদের উদ্ধার কার্যক্রম চালু ছিল মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে মাত্র দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা যায় ওই খনি থেকে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নাগাল্যান্ড প্রদেশের একটি সংকীর্ণ কয়লাখনিতে আগুন ধরে যায়। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ৬ জন শ্রমিক।