বিশ্বজমিন
শপথ নেয়ার আগেই ট্রাম্পের পর্নো তারকা কানেকশন মামলায় শাস্তি ঘোষণা
মানবজমিন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ৪ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ১:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার আগেই পর্নো তারকা স্টর্মি ডানিয়েলের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে অর্থের বিনিময়ে তার মুখ বন্ধ রাখার মামলায় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে তাকে জেল দেয়া হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারক। নিউ ইংর্কে বিচারক হুয়ান মারচানের এই শাস্তি ১০ই জানুয়ারি ঘোষণা হওয়ার কথা। ট্রাম্প আগামী ২০শে জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। তার আগে এই মামলা নিয়ে বেশ কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। বিচারক ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্পকে জেল, প্রোবেশন অথবা জরিমানা করা হবে না। তবে তার পরিবর্তে তাকে শর্তহীন ‘ডিসচার্জ’ দেয়া হবে। তিনি এরই মধ্যে রায় লিখেছেন। তাতে বলেছেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ওই রায়ের দিন ব্যক্তিগতভাবে অথবা ভার্চুয়ালি শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারবেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
উল্লেখ্য, ৫ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। সেই জয়কে ব্যবহার করে তিনি এই মামলাকে খারিজ করে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি পোস্ট দিয়ে বিচারকের রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বলেছেন, ওই রায় বেআইনিভাবে রাজনৈতিক আক্রমণ। এ মামলাকে একটি কারচুপির মামলা ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, স্টর্মি ডানিলেয়লের মুখ বন্ধ রাখার জন্য ট্রাম্প তাকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছেন বলে মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাম্প মিথ্যা বলেছেন বলে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩৪টি অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে মে মাসে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার অনেক আগে পর্নো তারকা স্টর্মি ডানিয়েলের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক হয়। নির্বাচনের আগে সেই কথা যাতে ওই তারকা প্রকাশ না করেন সেজন্য তাকে ব্যক্তিগত সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে দিয়ে অর্থ দেন ট্রাম্প। কিন্তু স্টর্মি ডানিয়েল তা প্রকাশ করে দিয়েছেন। তবে সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ক্ষতি করার জন্য এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
শনিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, বিচারকের শাস্তি সংবিধানের বিরুদ্ধে। ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এর আগে এই রায়কে ‘জাদুবিদ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবশ্যই প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা হাতবদল প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে দিতে হবে। তার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলো পালন করতে দিতে হবে। এসব কাজে কোনো রকম বাধা দেয়া যাবে না। তাকে কোনো জেল দেয়া যাবে না। এসব ঘটনার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত লড়াই চালিয়ে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মামলার বিরুদ্ধে সর্বশেষ ‘মোশনে’ ট্রাম্প বলেছেন, এই মামলা দিয়ে তার প্রেসিডেন্সিকে ঝুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং তার শাসন করার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।