বাংলারজমিন
ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার কুলাউড়া বিএনপি’র
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবারদীর্ঘ এক যুগেরও বেশি দিন ধরে কোন্দলে বিপর্যস্ত কুলাউড়া বিএনপি’র বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের মধ্যস্থতায় বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। দীর্ঘ বিরোধ শেষ হওয়ায় আগামী দিনের সকল কর্মকাণ্ড এক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন নেতারা। গতকাল সকালে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বিবদমান দু’টি অংশকে নিয়ে তার বাসভবনে দীর্ঘ বৈঠকে বসেন। চার ঘণ্টাব্যাপী চলে এ বৈঠক। সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় চলা এ বৈঠকে বিএনপি’র বিবদমান দু’টি অংশের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য একে একে তিনি ধৈর্য সহকারে শুনেন। এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাংগঠনিক নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য তিনি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। ওই বৈঠকে অংশ নেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, এডভোকেট আবেদ রাজা, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি’র প্রধান সমন্বয়ক মোশাররফ হোসেন বাদশা, সমন্বয়ক মো. হেলু মিয়া, আনিসুজ্জামান বায়েস, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শওকতুল ইসলাম শকু, জয়নাল আবেদীন বাচ্চু, বদরুজ্জামান সজল, রেদোয়ান খান, শামীম আহমদ চৌধুরী, আব্দুল মন্নান, আজিজুর রহমান মনির, আব্দুল জলিল জামাল, রফিক আহমেদ, সুফিয়ান আহমদ, আব্দুল মোক্তাদির মুক্তার, হাজী রফিক মিয়া ফাতু, আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সরোয়ার আলম বেলাল, দেলোয়ার হোসেন, শামীম আহমেদ, আকদ্দস আলী, বদরুল হোসেন খান, ফারুক আহমেদ পান্না, শেখ শহীদুল্লাহ, সুরমান আহমদ প্রমুখ। নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশ হচ্ছে- দলে কোনো বিভেদ ও মতভেদ রাখা যাবে না। দল করতে হলে আমরা সবাই দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। এবার সুযোগ হয়েছে দলকে তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত শক্তিশালী করার। এরইমধ্যে আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছি। ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা। উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়ে প্রতিটি স্তরে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এখন থেকে দলে আর কোনো পকেট কমিটি করা হবে না। স্বজনপ্রীতি চলবে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাংগঠনিক নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা হবে। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না। ময়ূন আরও বলেন, বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যেসকল নেতৃবৃন্দ জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের প্রাধান্য দিয়েই কমিটি গঠন করা হবে। সে জন্য জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সভায় প্রতিটি উপজেলার সমন্বয়কারীদের টিমদের এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখন দলকে সুন্দর সুষ্ঠুভাবে কর্মিসভা করে প্রতিটি স্তরে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনে সহযোগিতা করার জন্য নেতৃবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠক শেষে কুলাউড়া বিএনপি’র বিবদমান দু’টি অংশের নেতৃবৃন্দ একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন এবং কুলাউড়া উপজেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করার ঘোষণা দেন।