ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

শেষের পাতা

৪৩ লাখ কার্ড নিয়ে ব্যাখ্যা দিলো টিসিবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-এর (টিসিবি) মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ৪৩ লাখ পরিবার বা ফ্যামিলি কার্ড বাতিল করা সংক্রান্ত বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কার্ড বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টিসিবি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে কথা বলেন হুমায়ুন কবির। পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ৪৩ লাখ কার্ড বাতিলের খবর প্রকাশিত হয়।

বিষয়টি নিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, এক কোটি পরিবার কার্ডের মধ্যে ৫৭ লাখ কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। বাকি ৪৩ লাখ কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এখন তথ্য হালনাগাদ ও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে যদি কোনো কার্ডে অনিয়ম ধরা পড়ে তাহলে সেই কার্ড বাতিল করা হবে। তিনি বলেন, এখন এক কোটি কার্ডধারী সবাইকে পণ্য দেয়া হচ্ছে।
হুমায়ুন কবির বলেন, টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনিয়মের খবর আসছে। এক ব্যক্তি একাধিক জায়গায় এই কার্ড দিয়ে পণ্য নিচ্ছেন, এই হচ্ছে মূল অভিযোগ। পরিবার কার্ডের এসব সমস্যা দূর করার জন্য স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হচ্ছে, যেন এক পরিবারে এক ব্যক্তির বেশি কেউ কার্ড না পান।

কার্ডগুলোকে স্মার্টকার্ডে রূপান্তরে তথ্য হালনাগাদ করার জন্য টিসিবি’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনকে চারবার চিঠি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কার্ডধারীদের তথ্য পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জনসহ (যদি প্রয়োজন হয়) হালনাগাদ বিভিন্ন তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনে সামপ্রতিক রদবদলের কারণে টিসিবি’র হাতে এসব তথ্য এখনো আসেনি। সে জন্য বাকি ৪৩ লাখ কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে সময় লাগছে। এখন পুরনো কার্ডেই পরিবারগুলোর কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

টিসিবি’র ট্রাকের পণ্য অনেক মানুষ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কিনতে পারছেন না বলে সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। কেন এমনটা হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবির বলেন, নির্দিষ্টসংখ্যক পরিবারের জন্য বরাদ্দ থাকে। প্রতিটি স্থানে ৩৫০ জনের জন্য পণ্য বরাদ্দ থাকে। পরিবেশকদের বলা হয়েছে, ৩৫০টি টোকেন দেয়ার জন্য। এর বেশি দেয়া সম্ভব নয়। যারা টোকেন পাবেন না, তাদের সেদিনের জন্য চলে যেতে হবে। ফলে ৩৫০ জনের বেশি মানুষ থাকলে বাকিদের পরের দিন আসতে বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পবিত্র রমজান মাসে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার ভোজ্য তেল, এক কেজি চিনি ও এক কেজি ছোলা দেয়া হবে। এ ছাড়া মহানগর এলাকায় এক কেজি খেজুর দেয়া হবে। রোজার সময় পণ্য ট্রাকে বিক্রি হবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, যেসব পরিবেশকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠবে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না, নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

হুমায়ুন কবির জানান, কার্ডের বাইরেও ট্রাকে করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ৭০টি পয়েন্টে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ পণ্য কিনতে পারবে। প্রতি ট্রাকে ৩৫০জনের উপযোগী পণ্য দেয়া হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

Amar family card nai, National Id Ase, Tao smart card ekhono hate pai nai. Ami kivabe ponno nibo. Ami girib manus. Amarto ponno dorkar. keu ki asen help korar moto

Md. Amir Hossain Bid
১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

একদ্ ম ঠিক

MOHAMMED NAIMUL HUDA
১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

টিসিবির কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, স্কুলের উপবৃওি, মুক্তিযুদ্ধা ভাতার নামে বিপুল পরিমান টাকা আত্বসাৎ হয়েছে নামে বেনামে। এসব কার্ড হালনাগাদের ব্যবস্থা করে প্রকৃত প্রাপ্যদের ভাতা নিশিচিত করা জরুরী --- হালনাগাদ করতে গেলেই বুজা যাবে কি পরিমান দুর্নীতি হয়ে এ খাতে ----

এমএস আলম
১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

খবর নিয়ে দেখতে পারেন , নামে বেনামে কার্ড করে নিজেরাই লুট করছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বেশিরভাগ কাউন্সিলর নিজেদের কবজায় ২০০০-৩০০০ এলাকার ভোটারের না জানিয়ে নিজেরা লুট করছে।

জামশেদ
১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status