শেষের পাতা
প্রবাসী মুন্না কার কর্মী?
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৪ নভেম্বর ২০২৪, সোমবারসিলেটের সোনারপাড়ার বাসিন্দা ও ফিনল্যান্ড প্রবাসী সাজ্জাদুর রহমান মুন্না কার কর্মী? বিএনপি? না আওয়ামী লীগের- এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে নগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতারা মুন্নাকে ‘যুবলীগকর্মী’ হিসেবে দাবি করেছেন। তারা বলেছেন; গ্রেপ্তারের পর এখন তাকে বিএনপি’র কর্মী হিসেবে দাবি করা হচ্ছে। ফিনল্যান্ড প্রবাসী মুন্না সিলেট নগরে আলোচিত ব্যক্তি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এর আগে তিনি একাধিকবার আলোচিত হয়েছেন। এমনকি গত বছরের প্রথম দিকে তিনি এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন সোনারপাড়ার এসপি টাওয়ার-২ এর স্বত্বাধিকারী কুলাউড়ার ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার মধ্যরাতে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক মামলায় সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ থেকে সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর জানা গেছে ফিনল্যান্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি হচ্ছে মুন্না। সে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের অবৈধ আয়ের অর্থ ফিনল্যান্ড পাচার করার মূলহোতা বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ছাড়া; তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর ফিনল্যান্ড বিএনপি’র তরফ থেকে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বিবৃতি পাঠানো হয়। ওই বিবৃতিতে দলের নেতারা মুন্নাকে ফিনল্যান্ড বিএনপি’র কর্মী হিসেবে দাবি করেন। বৃহস্পতিবার পাঠানো বিবৃতিতে ফিনল্যান্ড বিএনপি’র সভাপতি কামরুল হাসান জনি ও সাধারণ সম্পাদক জামান সরকার জানিয়েছেন, মুন্নাকে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করায় ফিনল্যান্ড বিএনপি’র নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হতাশ হয়েছেন। এ জন্য মুক্তির ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণে সহযোগিতা চাওয়া হয়। এদিকে, ফিনল্যান্ড বিএনপি’র এই বিবৃতিতে হতাশ সিলেট মহানগরের ২১নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র নেতারা। শনিবার ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক সেবুর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যুবলীগ নেতাকে বিএনপিকর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়ার নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে- ফিনল্যান্ডপ্রবাসী যুবলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের অর্থদাতা সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলাও আছে। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে মুন্নাকে বিএনপিকর্মী বানানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ২১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতারা তা ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি করে আসছিল সাজ্জাদুর রহমান মুন্না। সেইসঙ্গে গ্রেপ্তারের তথ্য ও টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর খোলস পাল্টে বিএনপিকর্মী সাজার নাটক শুরু করে দিয়েছে মুন্না। তার এই নাটক মামলা থেকে বাঁচার জন্য। অথচ ফ্যাসিবাদী হাসিনার আমলে আওয়ামী এমপি-মন্ত্রীদের সঙ্গে দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গেছে তাকে। দিনরাত তাদের পেছনে সময় ও টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া মুন্নার মূলবাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। সিলেট নগরের সোনারপাড়া নবারুন আবাসিক এলাকায় তার বাসা রয়েছে। বিগত কয়েক বছর মুন্না যখনই ফিনল্যান্ড থেকে সিলেটে এসেছে তখন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। তিনি কখনোই নিজেকে বিএনপি’র কর্মী হিসেবে পরিচয় তুলে ধরেননি। তার পারিবারিক মালিকানাধীন বাসার রাস্তা নিয়ে কুলাউড়া উপজেলার ভাটের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে ২০২৩ সালে প্রথমে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন গ্রেপ্তার হওয়া সাজ্জাদুর রহমান মুন্না। পরে এসপি টাওয়ার-২ এর স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলামও পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মুন্নার বিরুদ্ধে বিষোদাগার করেছিলেন। সিলেট থেকে এই বিরোধের রেশ গিয়ে পড়েছিল এলাকায়ও। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে মামলা, পাল্টা মামলাও ছিল। ঘটনাটি গড়েছিল কুলাউড়ার সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল পর্যন্ত। তবে তাদের মধ্যে বিবদমান বিরোধের নিষ্পত্তি হয়নি।
মুন্না ভাই কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের কর্মি ছিলেন ভাটেরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর সাথে দির্ঘ দিন থেকে উনার জায়গা সংত্রান্ত দেন দরবার চলচে এই নিউজ যে করেছে সে টাকা খেয়ে ভাটেরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর পক্ষ নিয়ে নিউজ করেছে।
যার কর্মীই হোক - অপরাধীর মাজা হতে হবে...
মুন্না হাসিনার পিএস না খালেদা জিয়ার পিএস তা বড় কথা নয়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মুন্নার বিচার করা হউক। আওয়ামী সন্ত্রাসী হলে শাস্তি আর বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসী হলে মাপ এই রাজনীতি দেশে আর চলবে না।