শেষের পাতা
হিজবুত তাহ্রির সমন্বয়ক ইমতিয়াজ রিমান্ডে, বায়তুল মোকারকম থেকে আটক ৪
স্টাফ রিপোর্টার
৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবারনিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহ্রির এর মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিমসহ (৪২) ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল ভোরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমতিয়াজকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি পল্লবী ও খিলগাঁও থানার আরও দু’টি মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তার বিরুদ্ধে আরও ৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে শাহবাগ থানায় করা মামলায় ইমতিয়াজ সেলিমকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির সাইবার ইন্টেল টিমের পরিদর্শক মো. খাইরুল ইসলাম ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক শাহিন রেজা তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগে তদন্তে বলা হয়েছে, খেলাফতের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে গত ১৩ই সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে শাহবাগ থানাধীন প্রেস ক্লাবের সামনে মিছিল করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর সদস্যরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তারা বাধা উপেক্ষা করে হাইকোর্টের দিকে যেতে থাকে। এরপর অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
এদিকে, জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম থেকে আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পল্টন থানা পুলিশ। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলী মানবজমিনকে বলেন, সন্দেহভাজন হিসাবে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম থেকে হিজবুত তাহরিরের ব্যানারে দু’টি মিছিল বের করে কিছু ব্যক্তি। মিছিলে অল্পসংখ্যক লোকজন ছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্ত অবস্থানের কারণে তারা বেশি সুবিধা করতে পারেনি। এ সময় সন্দেহভাজন হিসাবে কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে হিজবুত তাহরির সদস্যরা ঢাকায় বিভিন্ন ইস্যুতে মিছিল ও কর্মসূচি পালন করছিল।
পাঠকের মতামত
ভারতীয় পূলিশ এখনও সক্রিয় !
খিলাফতের দাবী জানানো কবে থেকে অপরাধ হয়ে গেলো?