বাংলারজমিন
রংপুরে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে তিস্তা নদীর পানি
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবারউজানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। শনিবার তিস্তা নদীর পানি দিনভর ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জানা যায়, ভারতে অতি ভারী বৃষ্টি ও উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উজানের ঢল সামলাতে লালমনিরহাটের ডালিয়া ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলায় তীব্র স্রোতে তিস্তা নদীর পানি ঢুকছে। শনিবার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দিনভর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিকাল ৩টায় ওই পয়েন্টে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, রংপুর বিভাগ ও এর উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে করে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। সেইসঙ্গে নদীর পানি সোমবার থেকে কমতে শুরু করবে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, বন্যা নিয়ে আগাম সতর্কীকরণ তথ্য পৌঁছানোর কারণে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের মানুষেরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নদীর পানি বৃদ্ধিতে এখন পর্যন্ত বড় কোনো বিপর্যয় দেখা দেয়নি। রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে ৪৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ৪১ মিলিমিটার, দিনাজপুরে ৪৭, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৬২, ডিমলায় ৭৩, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৮৩, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রংপুর আবহাওয়া কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, রোববার রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।