শেষের পাতা
সব জায়গায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া ঠিক হবে না
স্টাফ রিপোর্টার, ঠাকুরগাঁও থেকে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার
দেশের সব জায়গায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এটা ভালো কথা। তার মানে হলো, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না। আমি মনে করি, সেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, সেসব এলাকায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া দরকার। কিন্তু যেসব এলাকা শান্তিপূর্ণ আছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন; সেখানে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমীচীন হবে না, বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করবো, তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন। কখনই এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না যা সামগ্রিকভাবে তাদের জন্য বুমেরাং হবে, দেশের মানুষের জন্য বুমেরাং হবে। গতকাল সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব হলরুমে জেলা বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। হাসিনা পতন আন্দোলনে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের সহায়তা প্রদানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শেখ হাসিনার বিচার চেয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম পাকিস্তানের সঙ্গে, ২৪ সালে যুদ্ধ করতে হলো দেশের একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। স্বৈরাচার হাসিনা ২০১২ সাল থেকে আমাদের ওপর নির্যাতন করছে। ৭শ’র বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিঃস্ব করা হয়েছে। তাদের আমলে ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ জনকে হত্যা করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি নির্বাচন চাই। আগামীতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও পার্লামেন্ট দেখতে চাই। যাতে রাজনীতিবিদেরা কাজ করতে পারেন রাজনৈতিক অবস্থা ফিরে আসে। সেই সঙ্গে আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি। এ সময় আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ে ৪টি শহীদ পরিবার ও ২৯ জন আহত সদস্যকে ১৫ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান তুলে দেন। এতে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
Mr Islam I am not agree about your opinion, let’s do army don’t say more
মীর্জা ফখরুল এর কথাবার্তা সন্দেহজনক। উনাকে সরিয়ে অন্য কাউকে দেওয়া হোক। সেনাবাহিনীর আইন সবার জন্য সমান। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলা ঠিক নয়।
আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতি ঘটিয়ে চলেছে। বিশেষ করে দখলদারিত্ব, পূর্ব শত্রু তার জের, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বত্রই ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার নিয়ে কাজ করার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। সাধারণ মানুষ ভীত হওয়ার কোন কারণ দেখি না।
এতো ভয়ের কিছু দেখিনা। তবে অপরাধীরা আতঙ্কিত হবে সাবধান হবে। তাই ইহা সর্বত্র প্রয়োজন।।।
"কিন্তু যেসব এলাকা শান্তিপূর্ণ আছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন; সেখানে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমীচীন হবে না, বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।" কিন্তু বেশিরভাগ এলাকায় বিএনপির রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই নিয়ন্ত্রণ করছেন করছে। সাধারন জনগণ, যারা ১৬ বছর আগে আওয়ামীলীগে ভোট দিয়ে ছিল, কোন কমিটিতে নাই, কারো কাছে থেকে চাঁদাও নেয়নাই, আওয়ামীীলীগেরই পদধারী নেতা কর্মীদ্বারা নির্যাতিত, কেউ কেউ নিজেরাও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চেয়েছিল, তাদেরকেই আবার বিএনপির নেতাকর্মী দ্বারা চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। তাদের জন্য বিএনপির বড় নেতাদের উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে না।
ফকরুল সাহেব,আপনাকে সম্মান করতাম।আশা করি অসম্মান করতে বাধ্য করবেন না।
আপনার কথাবার্তা হাসান মাহমুদের মত হয়ে গেছে। অল্প দিনেই আপনি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবেন।