শেষের পাতা
সেপটিক ট্যাংকে মিললো শিশুর লাশ সৎমাসহ আটক ৩
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
১ জুন ২০২৫, রবিবার
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নিখোঁজের ছয়দিন পর রদিয়া আক্তার রুহি (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাত্রাই ইউনিয়নের হিমাইল গ্রামে বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় নিহত শিশুর চাচা রেজাউল ইসলামের ছেলে রনি, শিশুর সৎমা আব্দুর রহমানের ২য় স্ত্রী সোনিয়া এবং আব্দুর রহমানের শ্বশুর পাঁচবিবি উপজেলার শালট্টি গ্রামের বাসিন্দা জিয়া কসাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রুহি উপজেলার হিমাইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমানের প্রথম পক্ষের মেয়ে। তার প্রথম স্ত্রী পাশেই বাবার বাড়িতে থাকে। মেয়ে রুহি তার মায়ের সঙ্গে থাকলেও প্রায় প্রতিদিন দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে আসতো। ২৪শে মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রুহি দাদির সঙ্গে দেখা করতে যায়। দীর্ঘ সময় না ফেরায় রুহির কথা জানতে চাইলে তার চাচা ও সৎমা জানায় তার দাদি বাড়িতে না থাকায় তাকে মায়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরে মেয়েকে না পেয়ে পরদিন (২৫শে মে) কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে রুহির বাবার দ্বিতীয় পক্ষের শ্বশুর জিয়া কসাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার রুহির চাচা রনি এবং তিনি মিলে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির টয়লেটের ভেতরে ফেলে দিয়েছে।
কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
পাঠকের মতামত
killerder fashi chai