ঢাকা, ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

শেষের পাতা

ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ড

অভিযুক্ত টাইরেস হাসপিলের ৪০ বছর কারাদণ্ড

মানবজমিন ডেস্ক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার
mzamin

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি তরুণ ফাহিম সালেহ’র হত্যাকারী টাইরেস হাসপিল (২৫)কে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। টাইরেস ফাহিমের সাবেক সহকারী ছিলেন। ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নাইজেরিয়াভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ ‘গোকাদা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। 

২০২০ সালের জুলাইয়ে ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে ফাহিম সালেহর মরদেহ পাওয়া যায়। ৩৩ বছর বয়সী ফাহিম সালেহর হত্যাকারী টাইরেস হাসপিলের বিরুদ্ধে হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এরপরই নিউ ইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টের জুরি টাইরেস হাসপিলকে ৪০ বছর কারাভোগের আদেশ দেন। একইসঙ্গে চুরির সমুদয় অর্থ কোম্পানিকে ফেরতের নির্দেশ দেয়া হয়। বিচারক ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন এল. ব্র্যাগ জুনিয়র এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য হাসপিল ফাহিমের চার লাখ ডলার চুরি করেন। বিষয়টি ফাহিম বুঝতে পারলে হাসপিলকে দ্বিতীয়বার সুযোগও দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি আড়াল করতে টাইরেস ফাহিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। শুধু তাই নয়, ইলেকট্রিক করাত দিয়ে খণ্ড-বিখণ্ড করে দেন ফাহিমের দেহ। ফাহিমের চাচাতো ভাই অ্যাপার্টমেন্টে এসে তার ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মরদেহ দেখতে পান। কয়েকদিন পর পুলিশ হাসপিলকে গ্রেপ্তার করে। 

আইনজীবী ব্র্যাগ জানান, যদিও আজকের সাজা সালেহকে ফিরিয়ে আনবে না, তবে আমি আশা করি এই রায় তার পরিবারের বেদনাকে কিছুটা হলেও প্রশমিত করবে। বিচারে প্রমাণিত ফাহিম সালেহ ২০১৮ সালের মে মাসে তার উদ্যোক্তা সহকারী হিসেবে হাসপিলকে নিয়োগ করেছিলেন। হাসপিল কোম্পানির আর্থিক দিকটা সামলাতেন। যেখানে তিনি ফাহিমের আর্থিক রেকর্ডগুলো অ্যাক্সেস পেয়েছিলেন। তিনি দু’টি আলাদা অত্যাধুনিক স্কিম ব্যবহার করে ফাহিমের কোম্পানি থেকে চুরি করছিলেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে হাসপিল অন্য নাম ব্যবহার করে একটি পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রথম স্কিম শুরু করেছিল, যা ব্যবসার অন্যান্য আর্থিক লেনদেন নকল করে জাল স্টেটমেন্ট তৈরি করার সময় সেই অ্যাকাউন্টে তহবিল জমা করেন। 
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হাসপিল একটি দ্বিতীয় আর্থিক স্কিম তৈরি করেছিল যেখানে তিনি একটি কর্পোরেট সত্তা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আরও অর্থ চুরি করতে শুরু করেন। 

প্রসিকিউটররা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফাহিম সালেহর কাছ থেকে নগদ অর্থ চুরি করছিলেন হাসপিল। বিষয়টি ফাহিম বুঝতে পারলে হাসপিলকে মামলা থেকে বাঁচাতে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুই বছর সময় দেন। কিন্তু হাসপিল তখনও ফাহিমের কোম্পানি থেকে টাকা চুরি করে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি   ফাহিম জেনে গেলে ভয় থেকে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২০ সালের ১৩ই জুলাই ফাহিম সালেহকে হত্যা করেন টাইরেস হাসপিল। সূত্র: এবিসি নিউজ
 

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status