ঢাকা, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

বিশ্বজমিন

পশ্চিমতীরে মার্কিন নাগরিক হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় জাতিসংঘ

মানবজমিন ডেস্ক

(১ মাস আগে) ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ২:১৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:২০ পূর্বাহ্ন

mzamin

নাবলুসের কাছে বেইতা শহরে ইহুদি বসতি স্থাপন সম্প্রসারণের প্রতিবাদে শুক্রবার পশ্চিমতীরে প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন তুরস্কের বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নারী আয়সেনুর ইজগি ইগি (২৬)। কিন্তু ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে জাতিসংঘ। জবাবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, ওই এলাকায় গুলিতে একজন বিদেশি নিহত হওয়ার পর তারা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইনস বিবিসি। 

এতে বলা হয়, একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, ওই এলাকায় তিনি প্রতিবাদ বিক্ষোভকালে দুটি গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। এই হত্যার বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, এ ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি আমরা। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহিতায় নিতে হবে। সব অবস্থায় বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে হবে। একই সঙ্গে এই হত্যার তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র সিন সাভেত বলেন, একজন মার্কিন নাগরিকের করুণ মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে হতাশ। তিনি আরও বলেন, আমরা ইসরাইল সরকারের কাছে আরও তথ্য চেয়েছি। একই সঙ্গে এর তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছি। গুলির পরপরই ওই স্থান থেকে যে ফুটেজ পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায়, দ্রুততার সঙ্গে আয়সেনুরকে একটি এম্বুলেন্সে তুলে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। 

প্রতিবাদ বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ইহুদি-ইসরাইলি কর্মী জোনাথন পোলাক। তিনি বিবিসির নিউজআওয়ার প্রোগ্রামে বলেছেন, ভবনের ছাদ থেকে সেনাদেরকে তিনি দেখেছেন টার্গেট করতে। তিনি দুটি গুলির  শব্দ শুনেছেন। দুটি গুলির মধ্যে সময়ের ব্যবধান এক বা দুই সেকেন্ড। তার ভাষায়- আমি শুনতে পেলাম কেউ একজন আমার নাম ধরে ডেকে ইংরেজিতে বলছে- আমাদেরকে সাহায্য কর। আমাদের সাহায্যের প্রয়োজন। আমি তাদের দিকে দৌড়ে গেলাম। সেখানে গিয়ে মিস আয়সেনুরকে মাটিতে একটি জলপাই গাছের নিচে দেখতে পাই। তার মাথা থেকে রক্তে ভেসে যাচ্ছে সব। আমার হাত তার মাথার নিচে দিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করলাম। আমি সেখান থেকে সেনাদের একটি লাইন পরিষ্কার দেখতে পেলাম। এ সময় আয়সেনুরের পালস দেখলাম। তিনি খুব দুর্বল ছিলেন তখন। ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি মুভমেন্টের প্রতিবাদে শুক্রবারই প্রথম যোগ দিয়েছিলেন আয়সেনুর। তাকে ওই অবস্থায় নাবলুসে একটি হাসপাতালে নেয়া হলো। এরপর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। 

আয়সেনুরকে ভর্তি করা হয়েছিল রাফিদিয়া হাসপাতালে। এর প্রধান ডা. ফুয়াদ নাফা নিশ্চিত করে বলেন যে, মার্কিন এই নাগরিক মাথায় গুলিতে নিহত হয়েছেন। এই হত্যার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

 অন্যদিকে ইসরাইলের এই কর্মকাণ্ডকে বর্বরোচিত বলে আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আয়সেনুরকে নাবলুস শহরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হত্যা করেছে। মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে সম্প্রতি সিয়াটলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন আয়সেনুর। 
 

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status