অনলাইন
আসিফ মাহমুদ
শ্রমিক অসন্তোষে বহিরাগতরা জড়িত, আজ থেকেই অ্যাকশন
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৪:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
সাভারের আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজনসহ বহিরাগতরা জড়িত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আজ থেকেই তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হবে। যারা ইন্ধন যোগাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করা হবে’।
বুধবার সচিবালয়ে তৈরি পোশাক শিল্প খাত ও শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে এক জরুরি বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণী উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিক বিক্ষোভে ইন্ধনদাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগও আছে কিছু জায়গায়। কিছু স্থানীয় বিএনপি নেতারাও রয়েছেন বলে আমরা সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আমাদের এ বিষয়ে কথা হচ্ছে। তারা যাতে তাদের নিবৃত রাখেন। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী যেসব আওয়ামী লীগ নেতা এখনো রয়ে গেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে যাবো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে যে তথ্য রয়েছে, সেটার ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
সেখানে যে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, সেটার জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নেবে জানান তিনি।
তিনি বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে আমরা মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে একাধিক সভা করেছি। সব শ্রমিক নেতাদের কাছ থেকে আমরা এটাই জানতে পেরেছি, এখন যে আন্দোলনগুলো হচ্ছে, শ্রমিক নেতারা এ আন্দোলনের প্রকৃতিটা নিজেরাও বুঝে উঠতে পারছেন না। কারণ এখানে কোনো নির্দিষ্ট দাবি উঠে আসছে না। কোনো নির্দিষ্ট দফাও পাওয়া যাচ্ছে না।
পরিস্থিতি কতদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ থেকে অ্যাকশন শুরু হবে, সেখানে ক্ষতি হয় এমন কোনো অ্যাকশন পুলিশ নেবে না। রাস্তাগুলো খালি করার জন্য যথাযথ অ্যাকশন নেবে। যারা ইন্ধন যোগাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করা হবে।’
আন্দোলনে বহিরাগত লোকজনের আধিক্য দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ আরও বলেন,যারা সাধারণত শ্রমিক আন্দোলনগুলো করে থাকেন, তারাও সেখানে সেভাবে নেই। বহিরাগত লোকজনের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় মালিকপক্ষ বেতন দিতে দেরি করছে, এজন্য আন্দোলন হচ্ছে। কয়েকটি স্পেসিফিক ফ্যাক্টরি আছে সেখানে মালিকপক্ষ পালিয়ে গেছে। সেখানে কিছুটা অসন্তোষ হয়েছে।’
আসলেই আপনারা ভালো করে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন গার্মেন্ট কর্মীরা অনেক অত্যাচার নির্যাতন ও বিনা কারণে চাকরিচ্যুত, হয়রানি ভয়ভীতি দেখানো সঠিক সময়ে বেতন না পাওয়া এইসব শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি করেছে তারা ডঃ ইউনুস স্যারের সহযোগিতা চায়
আমাদের পোশাক শিল্পের অনেক অফিস ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে, যার কারণে বেকারের প্রভাব টা বেশি পড়ে গেছে এবং রাস্তা ও অফিসের গেটে চাকরি প্রত্যাশীদের জনসমাগম তুলনামূলক একটু বেশি হয়ে থাকে এরই মধ্যে তৃতীয় পক্ষের কিছু দুর্বৃত্ত এসে সেখানে উশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি করে। যা আইন-শৃঙ্খলার পরিপন্থী রাস্তা অবরোধ ও ভাঙচুরের মতো কর্মকাণ্ড করে থাকে। যেভাবে দিন দিন পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ হচ্ছে এতে করে হতাশায় ভুগছেন ঢাকায় অবস্থানরত বন্ধ হয়ে যাওয়া পোশাক শ্রমিকেরা। মাস শেষে ঘর ভাড়া বিদ্যুৎ খাওয়া দাওয়া এবং অন্যান্য সব সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা ব্যয় হয় তার জোগান কোত্থেকে হবে? বন্ধ হয়ে যাওয়া পোশাক কারখানা গুলো দ্রুত খুলে দেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি এবং সেই সাথে একটা পোশাক কারখানাও যেন বন্ধ না হয় সেদিকে সরকারের শুভদৃষ্টি কামনা করি।