প্রথম পাতা
শেখ পরিবারের কে কোথায়?
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ আগস্ট ২০২৪, রবিবার
অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থানে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় আওয়ামী লীগ সরকারের মসনদ। ৩৬ দিন স্থায়ী গণআন্দোলনের শেষ মুহূর্তগুলো ছিল নাটকীয় আর ঘটনাবহুল। ৫ই আগস্ট দুপুরের পর সরকার পতনের ঘোষণা আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সরকারি নিয়ন্ত্রণ ছিল সর্বত্র। দলের নেতাকর্মীরা সরকার পতনের সেই মুহূর্তটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না মোটেও। পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা সময় পেয়েছিলেন মাত্র ৪৫ মিনিট। এই সময়ের মধ্যেই তাকে তৈরি হয়ে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে হয়। শেখ হাসিনাকে নিয়ে সামরিক বিমান যখন যাত্রা করে তখন সেখান থেকে কয়েকশ’ গজ দূরে আগাঁরগাওয়ে লাখো মানুষের স্রোত। কিছু সময়ের মধ্যেই গণভবন, সংসদ ভবন এলাকা দখলে নেয় আন্দোলন বিজয়ী জনতা। এমন অবস্থায় আওয়ামী লীগের দলীয় মন্ত্রী-এমপি এবং সিনিয়র নেতারা কে কোথায় গেছেন এই জিজ্ঞাসা অনেকের। বলা হচ্ছে সিনিয়র নেতাদের অনেকে ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়েছেন আবার কেউ কেউ আত্মগোপনে চলে গেছেন।
তবে পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সরকার পতনের আগেই অনেক মন্ত্রী-এমপি বিদেশে চলে যান। বঙ্গবন্ধু পরিবারের কয়েকজন সদস্যও ৫ই আগস্টের আগেই দেশ ছাড়েন। রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই এখন আর দেশে নেই। ৫ই আগস্টের আগে-পরে তারা দেশ ছেড়ে যান বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছে।
৫ই আগস্ট দুপুরে তড়িঘড়ি পদত্যাগ করে সামরিক বিমানে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। ওই দিন তারা দু’জনই গণভবনে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া পরিবারের আর কোনো সদস্য তখন দেশে ছিলেন না। থাকলে তারা ওই বিমানেই দেশ ছাড়তেন।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দিল্লিতে কর্মরত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। দিল্লিতে যাওয়ার পর তার মা এবং খালার সঙ্গে সায়মার সাক্ষাৎ হয়। লন্ডনে বসবাস করা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক বৃটিশ মন্ত্রী। শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান সিদ্দিক সরকার পতনের সময় দেশে ছিলেন না।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক সদস্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস সরকার পতনের দুই দিন আগে সিঙ্গাপুর চলে যান। ৩রা জুলাই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন। শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
শেখ ফজলে নূর তাপসের বড়ভাই শেখ ফজলে শামস পরশ আওয়ামী যুব লীগের চেয়ারম্যান। তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশেÑ এ নিয়ে সংগঠনের কারও কাছে তথ্য নেই। যুবলীগের একজন নেতা গতকাল মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ফজলে শামস পরশও দেশে নেই। আন্দোলন চলাকালে কোনো এক সময় তিনি বিদেশে গেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম দেশে নাকি বিদেশে এ নিয়ে ধূম্রজাল রয়েছে। সূত্রের দাবি তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য হিসেবে বরিশালে প্রভাবশালী নেতা ছিলেন আবদুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলন শুরুর সময়েই তিনি ছোট ছেলেকে নিয়ে ভারতে চলে যান। আজমীর শরীফ ভ্রমণে যাবেন এমনটা বলে তিনি দেশ ছাড়েন। তার আরেক ছেলে বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র ছোট ভাই সিটির বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দেশেই আত্মগোপনে আছেন।
বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ হেলাল সরকার পতনের আগেই দেশ ছাড়েন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন। তিনি দেশ ছাড়লেও তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় দেশেই আত্মগোপনে আছেন। শেখ হেলালের ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দীন জুয়েলকে সরকার পতনের পর টুঙ্গিপাড়ায় দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে। তিনি দেশে নাকি বিদেশে চলে গেছেন তা স্পষ্ট নয়।
পাঠকের মতামত
ইতিহাস থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নেওয়া উচিত আমরা অনেক কিছু মুখে বলি কিন্তু ইতিহাস শিক্ষা নেই না। নতুন করে আবার মনে করে দিল পাপ বাপকে ছাড়ে না।
বিগত ৬৮ বছরের ইতিহাসে আমার জানা আছে। ওপরে বিভিন্ন জনের বক্তব্য মন্তব্য পড়ে কিছুক্ষণ ভাববার সুযোগ হলো।এবার আমি জানতে পারলে খুশী হবো,-বৈষম্য/কোটা আন্দোলনকারীরা যখন তত্ত্বাবধায়ক ( কেয়াটেকার) সরকারের মাধ্যমে একটি নির্মল নির্বাচনের মাধ্যমে কোন ও দলকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাবে-তখন তাদের কাছ থেকে কি কি গ্যারান্টির মুচলেকা নেওয়া হবে-তা সর্বাগ্রে তৈরী করে রাখা অতীব জরুরী নয়কি !
যারা বিদেশে যেতে পারেনি, তারা সবাই গোপালগঞ্জে আত্মগোপন করেছে বলে মনে হয়। কারন ওরা মনে করেছে যে এখন কেউ গোপালগঞ্জে ঢুকবেনা। তাই ওই এলাকা ওদের জন্য নিরাপদ।
বিশ্ব বাটপার মুসা বিন শমসের এর নিরাপত্তায় আছে শেখ সেলিম ও তার পরিবার সাথে পরশ আর বিএনপি জোটের নেতা নাজিউর রহমান মনজুর ছেলে আন্দালিভ রহমান পার্থর নিরাপত্তায় আছে শেখ হেলাল ও তার পরিবার সন্দেহ করছি কিন্তু সত্য হতে পারে কারন তারা সবাই ঘনিষ্ঠ আতমীয় সবাই মিলে মিশেই লুটপাট করছে নিজেদের জনরোষ থেকে বাঁচাতে এরা হাসিনার বিরুদ্ধে বলছে
গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করা হোক এবং গোপালগঞ্জের সকল পুলিশ ও আমলাদের অব্যাহতি দেয়া হোক। পুলিশ থেকে র এজেন্ট খুঁজে বের করে থুথু নিক্ষেপ অনুষ্ঠান কড়া করা হোক।
মুজিবুর রহমানকে ভাঙ্গিয়ে এতো দিন তারা ব্যেবসা করে গেছেন আর তার সাথে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে , এদেরকে শিকড় সহ তুলে ফেললেই কেবল দেশের শান্তি আসবে ,তাহ না হলে আবার এরা ফিরে আসতেই থাকবে ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভাঙ্গিয়ে এতো দিন তারা ব্যেবসা করে গেছেন আর তার সাথে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে , এদেরকে শিকড় সহ তুলে ফেললেই কেবল দেশের শান্তি আসবে ,তাহ না হলে আবার এরা ফিরে আসতেই থাকবে ।
শেখ পরিবারের সকলেই দেখা যায় মন্ত্রী এমপি আর গোপালগঞ্জের সব পুলিশ ও আমলা। সময় হলে এরা আবার মধু খেতে আসবে।
এরা সময় বুঝে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্ঠির চেষ্ঠা করবে !
যারা আত্মগোপনে আছে তাদেরকে পার্শ্ববর্তী দেশ গোপালগঞ্জে খুঁজলে পাওয়া যেতে পারে।
দেশ এবং দলীয় কর্মীদের প্রতি কমিটমেন্ট না থাকলেও নিজের প্রতি এদের কমিটমেন্ট ১০০ ভাগ মানসম্পন্ন! নির্ভেজাল।
This is the result of the corruption. Allah SWT is watching each and everyone of us. Remember, every action has a reaction.
শেখ পরিবারের সকলেই দেখা যায় মন্ত্রী এমপি। গোপালগঞ্জের সব পুলিশ ও আমলা !
স্বৈর পরিবারের সবাই এম পি সহ নানা পদ পদবী দখল করে কোটার মাধ্যমে
শেখ সেলিমের নামে দুর্নীতির মামলা দিতে হবে।
সময় হলে এরা আবার মধু খেতে আসবে।