অনলাইন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা দিলেন শিক্ষকরা
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৪ আগস্ট ২০২৪, রবিবার, ৩:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘রূপান্তরের রূপরেখা প্রস্তাব’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ রূপরেখা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে রূপরেখা প্রস্তাব করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বুঝতে পারছি একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি। প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে একটা অসাধারণ প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তির জন্য আমাদের অবশ্যই একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এই পরিবর্তনটা এই সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে সূচিত হবে।
রূপরেখাগুলো হলো-
১. অবিলম্বে শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মূল শক্তিগুলোর সম্মতিক্রমে নাগরিক ও রাজনৈতিক শক্তিসমূহের মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষক বিচারপতি, আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের অংশীজনদের নিয়ে একটি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অন্তভূক্তিমূলক অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই সরকারের সদস্য নির্বাচনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভূমিকা পালন করবেন। এই সরকারের কাছেই শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করবে।
২. শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মূল শক্তিগুলো অংশীজনের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনসমূহের সমন্বয়ে সর্বদলীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নাগরিকদের নেতৃত্বে একটি ছায়া সরকার গঠিত হবে। এই ছায়া সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতে করবে, যেন দেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হয়। একই সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত দাবি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
৩. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে সেগুলো হলো-
ক) জুলাই হত্যাকাণ্ড এবং জনগণের ওপর জোর জুলমের দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের জন্য জাতিসংঘের সহয়তায় তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং তাদের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে।
খ) সাম্প্রতিক সময় করা মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক ও হয়রানিমূলক সকল মামলা বাতিল করতে হবে। এসব মামলায় আটক কিংবা বিনা মামলায় আটক সবাইকে মুক্তিদান করবে।
গ) সরকার গঠনের ৬ মাসের মধ্যে একটি সংবিধান সভা গঠনের জন্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। নির্বাচিত সংবিধান সভায় এমন এক গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রস্তাব করবে যে সংবিধানে স্বৈরতান্ত্রিক,সাম্প্রদায়িক ও জনবিদ্ধেষী বৈষম্যমূলক কোনো ধারা থাকবে না।
৪. শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের অভ্যুত্থানের মূল শক্তির মধ্যে সংলাপের ভিত্তিতে একটি ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে হবে যেখানে বৈষম্য ভিন্নতার মেলবন্ধনে জনগণের বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পথ নির্দেশ করবে।
৫. আমাদের প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, মূল অংশীজনের তালিকা প্রণয়ন এবং শিক্ষার্থী-জনতার ছায়া সরকার গঠনের প্রয়োজনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক যেকোনো দায়িত্বগ্রহণ বা পালন করতে প্রস্তুত আছে। এই রূপরেখা একটি প্রাথমিক প্রস্তাব মাত্র। প্রয়োজনে এই প্রস্তাবকে আরও বিস্তৃত করার জন্য আমরা ভবিষ্যতে কাজ করতে আগ্রহী।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন ও অধ্যাপক আব্দুল হাসিব চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাথে সাথে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করার প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
etodin koi silo ei lok golo? ?????
এরা বাম । এরাই কথায় কথায় রাজাকার বলে জিকির করতো । জঙ্গি, মৌলবাদ বলে সমাজের ভাঙ্গন সৃষ্টির নায়ক এরা । এখনও ছাত্ররাও রাজপথে লড়াই করছে, মৃতুবরন করছে, আর ওনি কচ্ছপের মত মাথা বের করে রূপরেখা দিলেন । এটা মশকরা নয়, বরং ইতরামি ।
এরা বাম । এরাই কথায় কথায় রাজাকার বলে জিকির করতো । জঙ্গি, মৌলবাদ বলে সমাজের ভাঙ্গন সৃষ্টির নায়ক এরা । এখনও ছাত্ররাও রাজপথে লড়াই করছে, মৃতুবরন করছে, আর ওনি কচ্ছপের মত মাথা বের করে রূপরেখা দিলেন । এটা মশকরা নয়, বরং ইতরামি ।
শ্রদ্ধাজানাই আপনাদের মতামত কে
কথায় কথায় রাজাকার বলা এই আনু মুহাম্মদদেরই কাজ । উপরন্তু যেখানে এখনো ছাত্ররা লড়াই করছে আর মরছে, আর ওনি দেশের প্ল্যান দিচ্ছেন । এর চেয়ে বড় ইতরামি আর কি হতে পারে ? তথ্য নিয়ে দেখুন, ওনারাই এই দেশের অন্যতম শত্রু ।
First, make a list of reforms to be made in all the sectors and make it mandatory for the Interim Gov to implement it.
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং নব্বইয়ের গনভ্যুথানের সুফল দেশের জনগন পায়নি , ২০২৪ এর গনভ্যুথানর সুফল থেকে জনগন যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে ।
বামপন্থীদের দিন শেষ, ওরা প্রচন্ড রকম সুযোগ সন্ধানী।এতো দিন এই কুলাঙ্গাররা ছিল কোথায়? একন এসেছে হালুয়া রুটির ভাগ বসাতে। ওদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে ইসলাম তথা মুসলমানদের কে চীর তরে বিদায় করে দেওয়া। নব্বই ভাগ মুসলমানদের দেশে ওদের এই খায়েশ কোনদিন ও পূরণ হবে না, ইনশাআল্লাহ। ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো সারাজীবন ওদের ভ্যা ভ্যা করেই মরতে হবে। কপালে ভালো কিছু জুটবে না।ওরা কারা, দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপ রেখা দেয়। জনগণ কি ওদের এই অধিকার দিয়েছে?
সরকার গঠন পরে করুন। আগে ছেলে মেয়েদের পাশে দাঁড়ান। সরকার পতনে সহযোগিতা করুন।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে বিগেডিয়ার জেনারেল ফজলুর রহমান সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত।
আগামি সরকারের কাছে জনগণের দাবী ঃ ১, অবিলম্বে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের অপসারণ ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন । ২, একটি পুরনাঙ্গ ও টেকসই গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রবর্তন , যেখানে প্রতিটি সুনাগরিকের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত থাকবে। ৩, দেশ থেকে পাচার হওয়া সব অর্থ দেশে ফেরত আনা এবং সব ধরনের আর্থিক অনিয়মগুলি সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া,(সংক্ষিপ্ত)। ৪, সিভিল ও ক্রিমিনাল কোর্ট প্রতিটি উপজেলায় স্থাপন। প্রতিটি কোর্টে অন্তত দুইজন বিচারক নিয়োগ দেয়া , যাতে একজন ছুটিতে বা প্রশিক্ষনে গেলে অন্যজন কোর্টের কাজ চালিয়ে যেতে পারে এবং জুরি প্রথা চালু করা ।প্রতিটি মামলা এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করা । জেলা আদালতগুলিকে উচ্চ আদালতের মর্যাদা দেয়া । মামলার বাদীকে তিনবারের বেশি যাতে আদালত পাড়ায় যেতে না হয় ,তার ব্যবস্থা করা, (সংক্ষিপ্ত ) ৫, প্রতিটি কৃষক , শ্রমিক , প্রান্তিক পোলট্রি খামারি , মৎস্য চাষি সহ মেহনতি সব কর্মজীবীকে রেশন বাধ্যতামূলক করা এবং এই রেশন বিতরণে প্রতিটি ওয়ার্ডে এক বা একাধিক রেশন শপ প্রতিষ্ঠা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পন্য রেশনের মাধ্যমে তাঁদেরকে বিলি করা । চেয়ারম্যান অফিসে সারাদিনের জন্য লাইন দিয়ে বসে থাকা বা কুকুরের মত ট্রাকের পেছনে যাতে দৌড়াতে না হয় । ৬, গ্রামীণ উদ্যোক্তা এবং উৎপাদক শ্রেনিকে জামানত বিহীন বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা । ৭, প্রান্তিক উৎপাদক শ্রেণীকে ( কৃষক , খামারি , মৎস্য চাষি ) ন্যায্যমূল্যে উৎপাদন করা পন্য ( যেমন সার , বীজ ,ঔষধ , খাদ্য ) ন্যয্য মুল্যে সরবরাহ করা এবং সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে উৎপাদক শ্রেণিকে সরাসরি ক্রেতাদের সাথে সংযুক্ত করা । শ্রমজীবী যুবকদের বিদেশে যাওয়ার খরচ এবং পদ্ধতি সহজতর করা । ৮, দেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার মান উন্নত করা এবং শ্রমজীবী মানুষদের সকল চিকিৎসা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় করা । ৯, শিক্ষা ব্যবস্থা গণমুখী করা , শ্রমজীবী মানুষের সন্তানদের বিনা বেতনে শিক্ষার ব্যবস্থা করা । ১০ , আমাদের অভিন্ন ৫৪ টি আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করা, কেননা উজানে বাঁধ দিয়ে ভারত প্রায় সব পানি নিয়ে যাচ্ছে যা জাতিসংঘ ঘোষিত আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি, আমাদের নদ নদী গুলি শুকিয়ে যাওয়ায় আমাদের কৃষি ও জীব বৈচিত্র্য আজ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন । ১১ , আমাদের দেশ ছোট হলেও লোক সংখ্যা অনেক , আমাদের দেশের উপর অনেক দেশই আধিপত্য বিস্তার করে আমাদের দেশকে নানান ভাবে শোষণ করছে । আমাদের সামরিক দুর্বলতা এবং শাসকশ্রেনির দুর্নীতিই এর প্রধান কারন , এবং আমাদের স্বল্পসংখ্যক সামরিক সদস্য ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে আমরা শক্তিধর দেশগুলিকে মোকাবেলা করতে পারবনা বলেই ওইসব দেশগুলি নানা উছিলায় আমাদের দুর্নীতিপরায়ণ সরকারগুলিকে চাপে রেখে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করে নেয় । সেই লক্ষ্যে আমাদের দেশের প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিটি ছেলে মেয়েকে সামরিক ট্রেনিং বাধ্যতামুলক করা । জয় হউক মেহনতি মানুষের সহ সমস্ত বাংলাদেশীর ।।
leftist are spreading their net
আনু মহম্মদ আরেক ছুপা আঃলীগ। এরা হচ্ছে বাম ঘরনার রাজনীতিবিদ। এদেরকে কখনই বিশ্বাস করবেন না।
সর্ব দলীয় সরকার হবে তাতে আরো থাকবে সাংবাদিক বুদ্ধিজীবি তবে অতি আওয়ামী ও অতি বিএনপি ঘারনারা নয়।থাকতে সাংবাদিক নুরুল কবির তৃতীয় মাত্রার জিল্লুর স্যার বুয়েট শিক্ষক কায়কোবাদ স্যার অবশ্যই জাফর ইকবাল স্যার নয়।স্বাধীন মালিক স্যার থাকবেন।এ রকম যাঁরা আছেন।আশা করি পাঠকবৃন্দ আমার কথা বুঝবেন।
এই পুলিশ বিলুপ্ত করতে হবে। সেনাবাহিনী রিফর্ম করতে হবে। বিচার বিভাগ পুর্ণগঠন, স্বাধীন করতে হবে। প্রশাসন শুদ্ধি অভিযান করে কালিমামুক্ত করতে হবে। সন্দেহ জনক আমলাদের অবসর দিতে হবে।
সুন্দর প্রস্তাব।
একটি অন্তরবর্তি সরকার ও সাংবিধানিক সভা গঠন গ্রহনযোগ্য মনেকরি।
Excellent Proposal
বামপন্থীদের চাল। এখানে আলেম-ওলামাদের কোন অবস্থান দেখছি না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের কোন উপস্থিতি দেখছি না । এ আন্দোলনের সাথে সকল শ্রেণীর মানুষ জড়িত সুতরাং সবারই সমভাবে অংশগ্রহণ থাকতে হবে
দেশে দায়িত্বশীল সবাইকে বলছি।দয়া করে আপনারা মানবিক হোন।যেহেতু ছেলেরা সরকার পতন ছাড়া ফিরবেনা, তাই আপনারা এই হত্যা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখুন।