শেষের পাতা
আসিফকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রাখার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফরম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের খোঁজ পাওয়া গেছে। গতকাল সকাল ১১টায় তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় মহানগর প্রজেক্টে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। এর আগে ১৯শে জুলাই চোখ বেঁধে তাকে উঠিয়ে নেয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি। আসিফ মাহমুদ বলেন, গত ১৯শে জুলাই আমাকে মহানগর প্রজেক্টের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তারা চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে আমার থেকে আন্দোলন স্থগিতের নির্দেশনা সংবলিত ভিডিও বার্তা দিতে চাপ দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় আমাকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রাখা হয়। এরপর জ্ঞান ফিরলে ফের অজ্ঞান করে রাখা হতো। এক পর্যায়ে গতকাল সকাল ১১টার দিকে মহানগর প্রজেক্টের একই স্থানে আমাকে ফেলে রেখে যায়। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও স্ট্যাটাস দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। সেখানে তিনি লিখেন, ‘গত শুক্রবার ১৯শে জুলাই রাত ১১টায় আমাকে হাতিরঝিলের মহানগর আবাসিক এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়। না মানায় ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস করে রাখা হয়। এই চার/পাঁচ দিনে যতবার জ্ঞান ফিরেছে ততবার ইনজেকশন দিয়ে সেন্সলেস করে রাখা হয়। বুধবার সকাল ১১টায় আবার একই জায়গায় চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায়। এখন আমি পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসারত আছি। এই ক’দিনে যা ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করছি। কিছুটা সুস্থ হলেই সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবো।’ আসিফ মাহমুদ বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে পরিবারের সঙ্গে আছেন তিনি।
পাঠকের মতামত
আসলেই এইটা কোনো মানুষের কাজ না,
যে বা যারাই করুক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদকে এভাবে জ্ঞান হারাবার মত কাজ করা একেবারেই অন্যায় করা হয়েছে।
আইয়ামে জাহেলীয়া ?