বাংলারজমিন
রায়পুরায় পাকা রাস্তা নির্মাণের দাবিতে জনমত সভা
নরসিংদী প্রতিনিধি
(৭ মাস আগে) ১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার, ৭:২৬ অপরাহ্ন

নরসিংদীর রায়পুরার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের বাটখোলা খন্দকার বাড়ী থেকে ডা: নাসির বাড়ী পযর্ন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণের দাবীতে জনমত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সচিব, ডিসি, ইউএনও, চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত এলাকার সকল কৃতি সন্তানদের দৃষ্টি আর্কষণ করানোর জন্য এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন। আজ সকালে নরসিংদীর রায়পুরার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের বাটখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চরসুবুদ্ধি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খালেকুজ্জামান মেম্বার এর সভাপতি ও চরসুবুদ্ধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো: রোকুনুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় সভায় কাস্টমস অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার পরও আমাদের বাটখোলা এলাকা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বাটখোলা খন্দকার বাড়ী থেকে ডা: নাসির বাড়ী পযর্ন্ত অবহেলিত রাস্তাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলে যানবাহন চলাচল করা খুবই জটিল। এ ছাড়াও পায়ে হাটা চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তার নির্মাণ না হওয়া পযর্ন্ত প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এ রাস্তা নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করতে যার যার অবস্থান থেকে সকলে এগিয়ে আসার আহ্বান করেন । খন্দকার খাইরুজ্জামান মাস্টার বলেন, বাটখোলা একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকায় এ বাটখোলায় একটি হাই স্কুল, একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানা, একটি মহিলা মাদ্রাসা, দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাটখোলা খন্দকার বাড়ী থেকে ডা: নাসির বাড়ী পযর্ন্ত অবহেলিত পাকা রাস্তাটি নির্মান করা অনেক পূর্বেই দরকার ছিল। দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষ এ রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচলে অতিকষ্টে জীবন যাপন করছে, এ সমস্যা থেকে উত্তরণ পেতে এলাকাবাসী যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করার সুযোগ সুবিধার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এ রাস্তা পাকা করা হইলে হাজার হাজার মানুষ যানবাহন নিয়ে যাতায়তে করতে পারলে খুবই উপকৃত হবে। সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার ও বাটখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি মো: মাসুদ মিয়া বলেন, আমাদের অনেক বন্ধুবান্ধব প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তারা কর্মরত আছে। তারা সুদৃষ্টি দিলে দ্রুত রাস্তাটি নির্মান করা সম্ভব হবে। যারা এ কাজ করবে মানব সেবার তালিকায় তাদের নাম সব সময় লেখা থাকবে।
পল্লী উন্নয়ন ব্যাংক ম্যানেজার মো: কবীর হোসেন বলেন, হাজী মোমেন চেয়ারম্যান এক সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ পাকা করে দিয়ে ছিলেন। এ রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক। গাড়ী চলাচলের কথা বাদ-ই দিলাম, পায়ে হাটার কোন সুযোগ নাই। মো: সিরাজ মোল্লা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ার কারনে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসা-যাওয়া খুবই কষ্টকর। আমাদের এলাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা কর্মচারী থাকার পরও রাস্তা নির্মান কাজ র্দীঘদিন ধরে পিছিয়ে রয়েছে। সমাজ সেবক মো: দুলা মিয়া বলেন, রাস্তা না থাকার কারনে অন্য এলাকার মানুষ আত্মীয়তার সম্পর্ক করতে রাজি হয় না, রাস্তাটা দ্রুত নিমার্ন করা হইলে জীবন যাত্রার মান পাল্টে যাবে।
বাটখোলা সাফামারুয়া মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক মো: রবি মোল্লা বলেন, উন্নয়নের প্রথম শর্ত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভাল য়োগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারণে মালামাল আনা-নেওয়া করা খুবই কষ্ট হচ্ছে, এ রাস্তাটি নির্মান হলে এলাকার প্রতিটি মানুষ খুবই মানুষিক শান্তি ফিরে আসবে। যারা এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাদের পাশে এলাকাবাসী সব কিছু দিয়ে সব ধরনের সাহায্য সহয়োগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।