বিনোদন
‘এগুলো যে গুজব সেটা মানুষ বুঝে’
স্টাফ রিপোর্টার
১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবারক’দিন ধরেই বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে জোর আলোচনা। এরমধ্যেই গুজব ছড়ায়, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান খানের নামে। এ শিল্পীর মা অধ্যাপক জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ২০০২ সালের মে মাস থেকে ২০০৭ সালের মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ছিলেন। গুজব ওঠে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আলোচিত সৈয়দ আবেদ আলী নাকি তার মায়ের গাড়িচালক ছিলেন।
শুধু তাই নয়, জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম পিএসসি’র চেয়ারম্যান থাকাকালে তাহসান ২৪তম বিসিএস-এ পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন। পরে সেই পরীক্ষা বাতিল হলে নতুন করে নেয়া মৌখিক পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তাহসান। তিনি জানান, কখনো বিসিএস পরীক্ষাই দেননি। আর বাদ পড়া তো দূরের কথা! এমনকি সেই আবেদ আলী কখনো তার মায়ের গাড়িচালকও ছিলেন না। তাহসান বলেন, এগুলো যে গুজব সেটা মানুষ এখন বুঝে। সামাজিক মাধ্যমে এসব গুজবের প্রতিবাদও করছেন তারা। তিনি বলেন, প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কথাই বলতে চাইনি। কারণ মূল বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে ভেবেছি। আর যারা এটা চাইছে তারা তো সফল হয়ে যাবে। তাছাড়া একজন প্রকৃত শিল্পী হতে হলে কিন্তু অনেক শ্রম, মেধা, সময় ও পরিশ্রম প্রয়োজন। সুতরাং গুজবে কান দিয়ে সেই দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারটা নষ্ট করাও ঠিক নয়। এ শিল্পী বলেন, আমি কোনোদিন বিসিএস দিইনি। যে গাড়িচালকের কথা বলা হচ্ছে, তিনি আমার মায়ের গাড়িচালক ছিলেন না। পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আবেদ আলী যত দিন পিএসসি’র চাকরিতে ছিলেন, ততদিন তিনি সংস্থাটির কোনো চেয়ারম্যানের গাড়িচালক ছিলেন না।
এদিকে তাহসানকে নিয়ে এসব গুজবের তীব্র নিন্দা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাচ্ছেন তার সহকর্মী থেকে শুরু করে অনেক সাধারণ দর্শকও। উল্লেখ্য, গত ৫ই জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পিএসসি’র দু’জন উপ-পরিচালক ও একজন সহকারী পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আবেদ আলী স্বীকারোক্তিতে ২০০৫ সাল থেকে পিএসসি’র অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। এই অপকর্মের মাধ্যমে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।