অনলাইন
পিস্তল ছিনতাই মামলা
রিজভীসহ ৪১৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পেছাল
স্টাফ রিপোর্টার
(২ দিন আগে) ২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার, ৬:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
![mzamin](uploads/news/main/116762_Untitled-2.webp)
পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছানো হয়েছে।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আগামী ২৮শে আগস্ট এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন। আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই মো. আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশের করা এ মামলাটিতে রিজভীসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গত ১লা নভেম্বর খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক এবিএম রাজ্জাক, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি খন্দকার এনামুল হক এনাম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৮শে অক্টোবর বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উসকানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করে।
এজহারে আরও বলা হয়, আসামিরা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইনসের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে তিনদিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পাঠকের মতামত
৪১৫ জনে মিলে যদি একটা মূলা চুরি করে মামলা খেতে পারে তবে ডাক্তারগন বিনে পয়সায় ধার্মিক রুগির হৃদস্পন্দন চুরি করে আধ্ম্যাতিকভাবে নিজের কানের বালাই সারলে মামলা হতে পারে না?