প্রথম পাতা
বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট
মানবজমিন ডেস্ক
২৯ জুন ২০২৪, শনিবারবাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মাত্রা, সহিংসতায় দায়ী ব্যক্তিদের সাজা দিতে ব্যর্থতা এবং ধর্মীয় কাজে বাধা প্রদানসহ নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া ওই প্রতিবেদনে ধর্মীয় বিভিন্ন বৈষম্যের দিকও উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হলেও বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে সমর্থন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সকল প্রকার ধর্মীয় বৈষম্যকে নিষিদ্ধ করে সকল ধর্মের সমতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের অভিযোগ উল্লেখ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এক্ষেত্রে তারা বিতর্কিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করেছে। মার্কিন ওই প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের নীরব ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর ওই হামলার ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন আরও অনেকে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনটিতে একজন মুসলিম নেতাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মসজিদগুলোর ইমাম নিয়োগ এবং তাদের অপসারণে স্থানীয় সরকার দলীয় লোকজন প্রভাব খাটিয়েছেন। দেশজুড়ে ইমামেরা স্বাধীনভাবে তাদের খুতবার বিষয় নির্ধারণ করতে পারেননি বলেও উল্লেখ ছিল ওই প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, ইমামরা কোন বিষয়ে তাদের খুতবা দেবেন সে বিষয়েও হস্তক্ষেপ করেছে সরকার।
গত বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের একটি গ্রামে এক নারীকে বিবাহ-বহির্র্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে এক ইমাম এবং গ্রামের তিনজনের বিরুদ্ধে বেত্রাঘাতের আদেশে ফতোয়া জারি করার অভিযোগ ওঠে। ওই প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে দেশের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।
ভারতে এতো অত্যাচারিত হচ্ছে মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা যা বর্বরতার চরম শিখরে,কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো বার্তা নেই ।আর ইসরাইল তো কাউকে গোনাই ধরে না এবং তারা এতো বর্বর যে তারাকে পশুর সাথেও তুলনা করা যাবে না ,নইলে পশুর উপর অন্যায় করা হবে। আমেরিকা যে একটি ভন্ড বদমাইস ও বাটপার মানুষ তা ভালো করে বুঝে গেছেন।
ভারতে মুসলিম সম্রাটের নির্মিত মসজিদ ভেঙ্গে হিন্দুত্ববাদী সরকার একই স্থানে রাম মন্দির তৈরী করে। আর বাংলাদেশে সরকার হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করার জন্য আনসার ও পুলিশ মোতায়েন করে। অথচ ভারতের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবেদন হয় না উল্টো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন হয়। মার্কিন নীতি বরাবরই নিজ স্বার্থসংশ্লিষ্ট।
বিনোদনের জন্য অনেক সময় অনেক খবর পড়তে হয়।
বাংলাদেশে অনেক ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে, সারারাত মাইকে ওয়াজ মাহফিলের শব্দ, কীর্তননের শব্দেও এখানে কেউ কিছু বলে না। এর চাইতে বেশী আর কিসের স্বাধীনতা?
এটা একটা অস্পষ্ট প্রতিবেদন বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবনতি সম্পর্কে বিতর্কিত আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অতীব গুরুত্ব দেওয়ার কারণ অজানা। ইসলামের মূলধারার অনুসারীদের ধর্মীয় বক্তব্যদান আলোচনা ওয়াজ মাহফিলে সরকারী দল এবং প্রশাসনের সরাসরি আক্রমন বাধাঁদান এবং পন্ড করার বিষয়ে প্রতিবেদনে কোন পর্যবেক্ষন উঠে আসেনি। বাংলাদেশের প্রায় সকল মসজিদ মাদ্রাসা কিংবা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণভার জোড় করে কিংবা প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা গ্রহন করে তাদের ইচ্ছামত ইমাম মুয়াজ্জিনদের নিয়ন্ত্রণ করছে যেখানে ইসলামের এমন কোন বিষয় আলোচনা নিষিদ্ধ যা সরকারের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে যায় বলে সন্দেহ করা হয়। তবে বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলায় আমেরিকান প্রশাসনকে অভিনন্দন।