ভালো আছেন হায়দার হোসেন

হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে রোববার রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশে ভর্তি হয়েছিলেন গুণী সংগীতশিল্পী, সুরকার ও গীতিকার হায়দার হোসেন। তিনদিন চিকিৎসা শেষে গতকাল বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন তিনি। জানা যায়, হৃদরোগের পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে ডায়াবেটিক সমস্যায়ও ভুগছিলেন তিনি। রোববার বুকে ব্যথা বেড়ে গেলে তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সিসিইউতে রাখা হয়। বর্তমানে সুস্থ হয়ে মেয়ের বাসায় অবস্থান করছেন তিনি। তিনি জানান, তার হার্টে একটি রিং পরানো হয়েছে। এর আগেও তাকে একে একে চারটি রিং পরানো হয়েছিল। তিনি বলেন, আমি এখন সুস্থ আছি, ভালো আছি। মেয়ের বাসায় আছি। উল্লেখ্য, ভিন্নধারার গান করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই সংগীতশিল্পী।

তার গানে আলোচনা-সমালোচনা দু’টিই থাকে। ‘আমি ফাঁইসা গেছি’সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গানের এ শিল্পী একাধারে গীতিকার, সুরকার, গিটারবাদক ও কি-বোর্ডবাদক। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে একজন প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৭৯ সাল থেকে হায়দার হোসেন সংগীতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। বিখ্যাত সুরকার আলম খানের সঙ্গে প্লেব্যাকে গিটার বাজাতেন তিনি এবং এরপর পপ সম্রাট আজম খানের সঙ্গে কাজ করতেন। একটা সময় হায়দার হোসেন নিজেই বেশ খ্যাতি পান। তার গাওয়া ‘তিরিশ বছর পরও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি’ ও ‘চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়াও করিতে পারিনি চিৎকার’ গান দু’টি এখনো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।