ঢাকা, ৩০ জুন ২০২৪, রবিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিঃ

বিনোদন

হাসিমুখে পল্লবীর লড়াই

বিনোদন ডেস্ক
২৭ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবারmzamin

একহাতে সংসার, অন্য হাতে কাজ। দুইটাই সমানতালে সামলাচ্ছেন ভারতের ছোটপর্দার অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা। ধারাবাহিকের পর্দায় তাকে দেখা যায় সংসারের নানা সমস্যায় পড়তে। আর সেই সমস্যার সমাধানও করে ফেলেন তিনি। কিন্তু বাস্তব জীবনেও তিনি হাসিমুখে কঠিন লড়াই করে গেছেন। তার মা মারা গিয়েছিলেন যখন তিনি মাত্র তৃতীয় শ্রেণিতে পড়েন। এক সাক্ষাৎকারে পল্লবী বলেন, আমার মায়ের ব্রেন টিউমার ছিল। যখন মা চলে গিয়েছেন, রোগটা বুঝে ওঠারই বয়স হয়নি আমার। ছোটবেলায় জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখছি মা অসুস্থ। বাবাকে দেখতাম, মায়ের জন্য কতোরকম চেষ্টা করতেন।

বিজ্ঞাপন
বার বার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া, ওষুধ বদলানো। চেন্নাই গিয়ে মাকে অস্ত্রোপচারও করানো হলো। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। মাকে বাঁচাতে পারলাম না। মা মারা যাওয়ার পর পল্লবী তার ফুফুর বাড়িতে চলে যান। সেখানেই পড়াশোনা এবং বেড়ে ওঠা। এর কয়েক বছর পর বাবাকেও হারান। অভিনেত্রী জানান, তার বাবা যেদিন মারা যান সেদিন তার পরীক্ষা ছিল। বাবার মৃতদেহ রেখেই স্কুলে গিয়েছিলেন পরীক্ষা দিতে। তিনি বলেন, সেটা বোধহয় জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল আমার। স্কুলে পড়ার সময়েই ‘ভালোবাসা ডট কম’ ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু করেছিলেন পল্লবী। কিন্তু প্রথম বড় পরীক্ষা, বাবার মৃত্যু, সবকিছু সামলাতে পারেননি অভিনেত্রী। ৩ দিন শ্যুটিং করার পরে ছেড়ে দিয়েছিলেন ধারাবাহিক। এরপরের অফারটা আসে কলেজে পড়াকালীন। ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের মূল চরিত্রে। পল্লবী বলেন, এ কাজটির পরে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ধারাবাহিকটা প্রায় ৫ বছর চলে। এরমধ্যেই আমি কলেজ শেষ করলাম। আর্থিকভাবে একটু নিজের পায়ে দাঁড়াতেই কলকাতায় একটা ফ্ল্যাট কিনে চলে এসেছিলাম। বছর ৩ আগে পিসিও মারা গিয়েছেন। এখন আমি কলকাতার ফ্ল্যাটে একাই থাকি।
 

বিনোদন থেকে আরও পড়ুন

   

বিনোদন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status