বাংলারজমিন
কুমিল্লার পশুর হাটে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
১৬ জুন ২০২৪, রবিবারকুমিল্লায় ঈদকে ঘিরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট। কুমিল্লার পশুর হাটে ক্রেতাদের সমাগম বাড়াতে বাজার কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চালাচ্ছেন বাজার কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, হাটে ক্রেতাদের বেশি চাহিদা মাঝারি গরুর দিকে। মাঝারি দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে বড় গরুর তুলনায় দাম একটু বেশি। আমজাদ হোসেন জানান, কোরবানির জন্য একটা মাঝারি সাইজের গরু কিনেছি ৯০ হাজার টাকা দিয়ে। আরও একটা বড় গরু কিনবো। দেশি মাঝারি গরু কিনতে বালুতুপা বাজারে এসেছি। চৌয়ারা গরু বাজারের গরু বিক্রেতা হোসেন মিয়া বলেন, একটা বড় সাইজের গরু বিক্রি করতে এর সঙ্গে মাঝারি সাইজের ৯টি গরু বিক্রি হয়। চৌয়ারা বাজারে আমি ১৯টি গরু এনেছি। বড় গরুগুলোর প্রতি কাস্টমারের চাহিদা কম। মাঝারি সাইজের ৭টি গরু বিক্রি করেছি। কুমিল্লার গরু বাজারে ৭০ হাজার থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকার বড় গরুও দেখা যায়। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এবার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে অন্তত ৪৯০টি কোরবানির পশুর হাট ইজারা দেয়া হয়েছে।
এরমধ্যে স্থায়ী পশুর হাট ৩৮টি, অস্থায়ী ৩৯৪টি। সবচেয়ে বেশি পশুর হাট বসেছে মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় ৪১টি করে। এ ছাড়া চৌদ্দগ্রামে বসবে ৩৬টি। অনলাইনেও চলছে পশু বেচাকেনা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, জেলায় এবার ২ লাখ ৭৯ হাজার ১২০টি পশু কোরবানির চাহিদা রয়েছে। তার বিপরীতে এবার পশু রয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৮টি। হাট ইজারাদার সহিদ মিয়া জানান, শহরের ক্রেতারা এখনও গরু কিনেননি। কারণ শহরের বাসা বাড়িতে এখন কোরবানির জন্য গরু কিনে রাখার জায়গা নেই। যার কারণে শহরের অনেক ক্রেতা গরু রাখার জায়গা ও লালন- পালন করার ঝামেলা নিতে চান না। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন জানান, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য কুমিল্লার পশুর হাটগুলোতে পুলিশের বিশেষ ফোর্স গাড়ি দিয়ে টহল দিচ্ছে। পশুর হাটগুলোতে জাল টাকা শনাক্তকরণের মেশিন রয়েছে।