বাংলারজমিন
সাতক্ষীরায় ছেয়ে গেছে অনুমোদনবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
১৬ জুন ২০২৪, রবিবার![mzamin](uploads/news/main/114587_sat.webp)
সাতক্ষীরায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অনুমোদনবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে অনুমোদনহীন এ সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো দীর্ঘ বছর ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। যার ফল হিসেবে প্রতি বছর অসংখ্য মায়ের বুক খালি হচ্ছে। অনুমোদনহীন এসব ক্লিনিকের বিরুদ্ধে রয়েছে স্মাগলিং ও অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সাতক্ষীরার ৭ উপজেলায় ১২৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তথ্য আছে সিভিল সার্জনের কাছে। ১২৫টি ক্লিনিকের তথ্যের বাইরে শতাধিক ক্লিনিক শহরের আনাচে-কানাচে, হাটে মোড়ে, অলিতে গলিতে চোখে পড়ে। ১২৫টির ভিতর ২১টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সকল কাগজপত্র সঠিক আছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। বাকিগুলোর নেই বৈধ কাগজপত্র। অবৈধ ক্লিনিকগুলো চলে বিশেষ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও রাঘব বোয়ালদের শেল্টারে। সাতক্ষীরা জেলা শহরে অবস্থিত ১৩টি লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক রয়েছে। এ ছাড়াও শ্যামনগরে ১৪টি, কালিগঞ্জে ৭টি, আশাশুনিতে ৩টি ক্লিনিক, কলারোয়ায় ১৪টি, তালায় ৫টি, দেবহাটায় ৩টি রয়েছে।
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আজাদ হোসেন বেলাল বলেন, সাতক্ষীরায় চিকিৎসা বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরে কিছু রাঘব বোয়াল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় এগুলো চলে। মাঝে মাঝে অভিযান হয়, থেমেও যায়। এই অভিযান কেন হয় কেন থেমে যায় আমরা আজও বুঝতে পারিনি। সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম বলেন, আমি সাতক্ষীরায় নতুন এসেছি। আগের সিভিল সার্জন কি করেছে এর দায়ভার আমি নেবো না। আমি বেসরকারি ক্লিনিক এসোসিয়েশনের সঙ্গে বসেছি। আগামী ১লা জুলাই থেকে সকল ক্লিনিক পরিদর্শন করবো। কাদের লাইসেন্স নেই, কারা নবায়ন করেননি, সেটা দেখা হবে।