বিশ্বজমিন
অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে বিচার অনুমোদন
মানবজমিন ডেস্ক
১৬ জুন ২০২৪, রবিবারকাশ্মীর ইস্যুতে বক্তব্য দেয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে বিচারের মুখোমুখি ভারতীয় সুপরিচিত লেখিকা অরুন্ধতী রায়। ২০১০ সালে তিনি ভারতের অবৈধ দখলীকৃত জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক এক কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেখানে তার বক্তব্য উস্কানিমূলক ছিল এই অভিযোগে বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে এমন বিচারের মুখোমুখি অরুন্ধতী। ইন্ডিয়া টুডে’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। এতে বলা হয়, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনাই কুমার সাক্সেনা এই বিচারের অনুমোদন দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি কাশ্মীরের আইন বিষয়ক সাবেক প্রফেসর শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধেও বিচার অনুমোদন করেছেন।
অরুন্ধতী যে কনফারেন্সে বক্তব্য রেখেছেন, সেই একই কনফারেন্সে তিনিও বক্তব্য দিয়েছেন। ওই একই কনফারেন্সে আরও বক্তব্য দিয়েছিলেন কাশ্মীরি স্পিকার সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, সৈয়দ আবদুল রহমান গিলানি। দিল্লি গভর্নরের অফিস সরকারিভাবে রাজভবন হিসেবে পরিচিত। ২০১০ সালের অক্টোবরে সুশীল পণ্ডিত নামে এক ব্যক্তি নয়াদিল্লিতে অভিযোগ তোলেন আদালতে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এ বিষয়ে মামলা নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়। ফলে এফআইআর করা হয় অরুন্ধতী রায় ও শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে। সুশীল পণ্ডিতের অভিযোগ তারা দু’জন নয়াদিল্লিতে ‘আজাদি- দ্য অনলি ওয়ে’র ব্যানারে আয়োজিত কনফারেন্সে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এর মধ্যদিয়ে তারা ভারত থেকে কাশ্মীরকে আলাদা করার পক্ষে কথা বলেছেন। ওদিকে তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিচার অনুমোদন দেয়ার খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র হিসেবে ভারত অব্যাহতভাবে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ইউএপিএ আইন পাস করা হয় ভারতের ভেতরে বেআইনি সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রতিরোধে। এ আইনে শাস্তি হিসেবে দেয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
ভারতের অরুন্ধতী রায় আন্তর্জাতিক অংগনে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে নক্ষত্রসম। তাকে এ ভাবে বিচারের সম্মূখীন করলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।