শেষের পাতা
চিকিৎসা এবং পুষ্টির অভাবে মৃত্যুর মুখে প্রায় ৮০০০ ফিলিস্তিনি শিশু!
মানবজমিন ডিজিটাল
১৪ জুন ২০২৪, শুক্রবার
গাজার অনেক মানুষ ‘ভয়ঙ্করভাবে ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির’ সম্মুখীন হচ্ছে। এ কথা জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক, টেডরস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। তিনি বলেন, এখানকার মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং মানসম্পন্ন খাবার পাচ্ছেন না। অবিলম্বে সেখানে পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করা প্রয়োজন। টেডরস বলেন, ‘বিনা চিকিৎসা এবং অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যুর মুখে প্রায় ৮০০০ ফিলিস্তিনি শিশু! এদের সকলেরই বয়স পাঁচ বছর বা তার কম। যার মধ্যে ১৬০০ শিশু গুরুতরভাবে তীব্র অপুষ্টির শিকার। তবে, নিরাপত্তাহীনতা এবং অ্যাক্সেসের অভাবের কারণে, গুরুতর অপুষ্টিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য শুধুমাত্র দু’টি কেন্দ্র থেকে পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে আমাদের অক্ষমতা, বিশুদ্ধ পানি এবং স্যানিটেশনের অভাব শিশুদের অপুষ্টির ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান কিছুদিন আগেই জানিয়েছিল, ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত চার বছরে সারা পৃথিবীতে যত শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাকে ছাপিয়ে গেছে ২০২৩ সালের অক্টোবরের গোড়া থেকে গাজা ভূখণ্ডে শুরু হওয়া যুদ্ধে নিহত প্যালেস্টাইনি শিশুর সংখ্যা।
এর পাশাপাশি অনাহার এবং অপুষ্টিজনিত কারণেও বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে সেখানে। মোট সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার! গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ৭ই অক্টোবর যখন হামাস যোদ্ধারা ১২০০ ইসরাইলিকে হত্যা করে এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে।
ইসরাইলের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ৩৭,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, দেশের ২.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার বেশির ভাগ এখন বাস্তুচ্যুত এবং ব্যাপক ক্ষুধা ও ধ্বংসলীলার শিকার। বুধবার জাতিসংঘের একটি তদন্তে দেখা গেছে যে, ইসরাইল এবং হামাস উভয়ই যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং ইসরাইলের কর্মকাণ্ড মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সমান। টেডরস গাজার পশ্চিম তীরে স্বাস্থ্য সংকটের কথাও তুলে ধরেন, তিনি বলেন যে ৭ই অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে প্রায় ৫০০টি হামলা হয়েছে। পশ্চিম তীরের বেশির ভাগ এলাকায়, ক্লিনিকগুলো সপ্তাহে মাত্র দুইদিন কাজ করছে এবং হাসপাতালগুলো ৭০ শতাংশ ক্ষমতা নিয়ে কোনোমতে কাজ চালাচ্ছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর