ঢাকা, ২৬ জুন ২০২৪, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিঃ

অর্থ-বাণিজ্য

বাজেটের অর্থায়ন দায়-দেনার উপর নির্ভরশীল: ফাহমিদা খাতুন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(১ সপ্তাহ আগে) ১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৪:৫৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের অর্থায়ন দায়-দেনার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এতে ২০২৫ সালে রিজার্ভ বৃদ্ধি করে ৩২ বিলিয়ন ডলার করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে এটি কিভাবে করা হবে সেবিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি বলে জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইআরএফ মিলনায়তনে ‘অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট’ শীর্ষক আলোচনায সভায় তিনি এ কথা বলেন। ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের আরও বক্তব্য রাখেন বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের বাজেট প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করের উপর বেশি নির্ভরশীল। এনবিআরের রাজস্ব আহরণের আকার প্রতিনিয়ত বাড়ানো হচ্ছে। তবে কোনোভাবেই করজাল বিস্তৃত করা সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে কর ফাঁকিও কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবতা বর্জিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মোহবিষ্ট বাজেট বলে মন্তব্য করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, দুই বছরে সামষ্টিক অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। এমন অবস্থায় আগামী অর্থ বছরের জন্য জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে এখন ৯ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি চলমান।

বিজ্ঞাপন
আর আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬.৫ শতাংশ। আগামী এক মাসের মধ্যে এটা অর্জন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আগামী অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ শতাংশ। চলতি বছরের ১১ মাসে প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ। এক মাসের মধ্যে ৮ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব না। একইভাবে আগামী অর্থবছরে আমদানির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১০ শতাংশ; বর্তমানে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি বিরাজমান। এক-দুই মাসের মধ্যে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে পৌঁছানো সম্ভব নয়।

এ অবস্থায় প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন হবে না উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, কয়েক বছর আগে অর্থনীতির সূচকগুলো শক্ত অবস্থান শক্তিশালী ছিল। সেই ধারণা থেকে এবার বাজেট উপস্থাপন হয়েছে, যা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন হবে না।

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এনামুল হক বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য এখন বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চায়ন নিশ্চিত করতে হবে। বিনিয়োগকারীরা মুনাফা যদি বিদেশে না নিয়ে যেতে পারে তাহলে তারা বিনিয়োগ করবে না। তিনি বলেন, দেশের শিল্পের দেখাশোনা করার জন্য কোনো মন্ত্রণালয় নেই। একজন শিল্পমন্ত্রী আছেন তিনি সরকারি শিল্পকারখানা দেখেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আছে, সেখানকার মন্ত্রী বেসরকারি ব্যবসা-বাণিজ্য দেখেন। দেশের শিল্প দেখবে এমন মন্ত্রণালয় দেশে নেই।

ব্যাংক এখন কাজ করছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংক এখন কয়েকজন মানুষের হাতের মুঠোয়। ব্যাংক খেলাপি নামের যে শব্দগুলো শুনছেন এগুলো গৎবাঁধা শব্দ। এগুলোর কোনো পরিবর্তন হবে না, যতক্ষণ না ব্যাংকিং খ্যাত রিফর্ম না হয়। ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া হয় ব্যবসা করার জন্য। এখন যেটা হচ্ছে, ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ব্যাংক কিনে ফেলছে। এই অবস্থায় বিনিয়োগ আশা করা যায় না। নতুন অর্থমন্ত্রী হয়েছেন, আশা করেছিলাম এই বিষয়গুলো সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা থাকবে। কিন্তু সেটা পাওয়া যায়নি।
 

পাঠকের মতামত

Dear Good eyes Appreciate your statements. No concern will follow your observation and nice directives but please do continue. Observe~Brain storming~Evaluation~Reflecting such issues are already sign of development. We treat your statements as contrubution to the country. Dear Country management concern please do read and think what Fahmida said this will be ultimately helpful for you to sustain and good for the country. Please do not save yourself for a moment only. Thanks

sami
২১ জুন ২০২৪, শুক্রবার, ৯:২৭ অপরাহ্ন

অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অর্থ-বাণিজ্য সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status