বাংলারজমিন
আদমদীঘিতে বিদ্যালয়ের কোটি টাকার ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার
আদমদীঘির অন্তাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্মাণাধীন ভবনে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। স্কুল পরিচালনা কমিটির অভিযোগ, নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট, বালু ও পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। জানা গেছে, গত বছরের ৫ই নভেম্বর উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি’র অন্তাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে ১ কোটি ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৯৯ টাকা ব্যয়ে মোহাম্মদ সোহেল নামের এক ঠিকাদার কাজটি শুরু করেন। ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে নিম্নমানের ইট, বালু ও পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে নির্মাণাধীন ভবনে প্লাস্টারের আগেই শ্যাওলা ধরে দেয়াল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এসব বিষয় নিয়ে এলজিইডি প্রকৌশল বিভাগে অভিযোগ করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় নিম্নমান সামগ্রী দিয়েই কাজ পরিচালনা করছেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তফা হোসেন জানান, ‘ঢালাইয়ে অতিরিক্ত বালু, মরা ও ময়লাযুক্ত পাথর, নিম্নমানের কাদাযুক্ত বালু ব্যবহার এবং দুই ও তিন নম্বর ইট দিয়ে বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রীর নমুনা সংরক্ষণের নিয়ম থাকলেও তারা তা করেননি। কাজের মান নিয়ে অভিযোগ তোলার পর মনগড়াভাবে কয়েকটি নমুনা (সিলিন্ডার) তৈরি করেছেন। প্রকৌশল অফিস থেকে যিনি দেখভালের জন্য আসেন তাকে অনিয়মের বিষয়গুলো বললে কর্ণপাত করেন না। একই রকম অভিযোগ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা পারভীন বলেন, তারা ঢালাইয়ের কাজ রাতের আঁধারে করে থাকেন। এতেই বোঝা যায় তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়। জানতে চেয়ে ঠিকাদার মোহাম্মদ সোহেলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা বলেন, খারাপ ইট ব্যবহার করার বিষয়ে স্কুল কমিটির অভিযোগ পেয়ে ওইসব ইট ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও যদি ব্যবহার করে থাকে তাহলে ওইসব ইট ভেঙে ফেলা হবে। ঢালাইয়ের সময় আমরা ভালো পাথর দেখে এসেছিলাম পরবর্তীতে যদি খারাপ পাথর নিয়ে আসে তাহলে সেগুলো দেখে পরিবর্তন করতে বলা হবে। তাছাড়া নির্মাণ কাজ দেখভালের জন্য সেখানে আমাদের লোকজন রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) রুমানা আফরোজ বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। সরজমিন বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।